BY- Aajtak Bangla
30 OCTOBER, 2023
শুক্তো, মুড়িঘন্ট, মোচার ঘন্ট, চাপড় ঘণ্ট এসব রান্না বাঙালির একেবারে নিজস্ব।
যতই বিদেশি খাবার আসুক না কেন, বাঙালির এইসব খাবার আজও দারুণভাবে জনপ্রিয়।
মাছের মাথা দিয়ে ডালের পাশাপাশি এই বাংলায় মুড়িঘণ্টের প্রচলন সব চাইতে বেশি।
গরম ভাতে মুড়িঘন্ট খেতে দারুণ লাগে। অনেকে আবার একে মাছের পোলাও বলে থাকে। ঝরঝরে মুড়িঘন্ট সকলে চট করে বানাতে পারে না।
তবে এই উপায় মানলে মুড়িঘণ্ট হবে একেবারে ঝরঝরে।
উপকরণ গোবিন্দ ভোগ চাল, মাছের মাথা, পেঁয়াজ কুচি, টমেটো, কাঁচা লঙ্কা, শুকনো লঙ্কা, গোটা গরম মশলা, ধনে, জিরে, আলু, আদা-রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো, নুন-চিনি, সর্ষের তেল।
পদ্ধতি চাল ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকনো প্যানে শুকনো লঙ্কা, একটু দারচিনি, এক চামচ ধনে, হাফ চামচ গোটা জিরে, তিনটে এলাচ, পাঁচটে লবঙ্গ নেড়ে নিয়ে একটা পাউডার বানিয়ে নিতে হবে।
তরকারির মাপে ছোট টুকরো করে আলু কেটে রাখুন। দুটো মাঝারি সাইজের কাতলার মাথা নেবেন কানকো ছাড়া।
ভাল করে ধুয়ে মাছের মাথায় নুন-হলুদ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সর্ষের তেল দিয়ে মাছ ভেজে নিন।
ওই তেলে কেটে রাখা আলু ভেজে নিতে হবে। একই তেলে কুচিয়ে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে নিতে হবে।
এবার আদা-রসুন বাটা, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, টমেটো, কাঁচালঙ্কা দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে।
এবার গোবিন্দ ভোগ চাল জল ঝারিয়ে মিশিয়ে দিন। খুব ভাল করে চাল মশলার সঙ্গে ভেজে নিয়ে আলু মেশান। সবার শেষে মাছের মাথা ভেঙে মিশিয়ে দিন, এতে খুব ভালভাবে তা মিশিয়ে যাবে।
স্বাদমতো নুন, দু কাপ জল দিয়ে নাড়িয়ে চাড়িয়ে গ্যাসের ফ্লেম কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন ৬ মিনিট। হাফ চামচ চিনি আর ভেজে রাখা একচামচ মশলা এবার মিশিয়ে নিতে হবে।
জল শুকিয়ে আসলে গরম মশলা, ভাজা মশলা আর এক চামচ ঘি মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন ২ মিনিট। এতে খেতে বেশ ঝরঝরে হবে।