20 OCTOBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
বাঙালির আহারে খাসি কিংবা পাঁঠা হলে বাহা রে! রবিবার মানেই জম্পেস করে কচি পাঁঠার লাল লাল ঝোল বা খাসির মাংস কষা, জিভে জল এনে দেয়।
তবে কোলেস্টেরল, ডায়বেটিস, ইউরিক অ্যাসিড রোগে ছেয়ে গেছে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে। তাই তারা খেতে ভয়ই পান।
সেক্ষেত্রে একটি কাজ করতে পারেন। যাতে মাটনের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হবে না। মাটন খেতে হলে কচি পাঁঠা খান। কারণ, খাসির মাংসে থাকে চর্বি। এতে কোলেস্টেরলের পরিমাণও বেশি।
কচি পাঁঠার মাংসে তুলনামূলক ভাবে কম চর্বি ও কোলেস্টেরল থাকে। তাই এতে তেমন কোনও স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই। এর চর্বি কম বলে রক্তে কোলেস্টেরলsর মাত্রা বৃদ্ধি করে স্বাস্থ্যহানি হবে না।
কচি পাঁঠার মাংস জয়েন্টের ব্যথা উপশম করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বক কোলাজেন দ্বারা গঠিত, যা ইলাস্টিন এবং অন্যান্য যৌগ তৈরি করে। ত্বকের টোনকে কার্যকরীভাবে এবং চেহারার উন্নতি করতে সাহায্য করে।
বিশেষ করে এর পায়া বা টেংরির স্যুপে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা পেশী প্রোটিন সংশ্লেষণের উদ্দীপনায় সহায়তা করতে পারে।
খাসির মাংসে অতিরিক্ত খেলে শরীরে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে এবং হজমেও সমস্যা হতে পারে।
এমনকি, এটি খাদ্যনালি, অগ্ন্যাশয়, ফুসফুস, পাকস্থলী ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।
মনে রাখবেন, খাসি এবং পাঁঠা উভয়ই পুরুষ প্রজাতির ছাগল। পাঁঠার জন্মের কিছুদিন পরে অন্ডকোষ কেটে ফেলে দেওয়া হলে খাসি বলা হয়। এদের অন্ডকোষ কাটলে এরা প্রজননে অক্ষম হয়ে যায়, ফলে খাসি মোটা তাজা হয়ে ওঠে এবং এদের মাংস সুস্বাদু হয়।
খাসিতে চর্বিও বেশি থাকে। তাই সুস্থ থাকতে হলে কচি পাঁঠাই বেছে নিন।