BY- Aajtak Bangla
16 JANUARY, 2024
নামের অক্ষরের উপর জীবনে অনেকটা ভাল ও খারাপ প্রভাব নির্ভর করে। রাশি অনুযায়ী নাম রাখার প্রচলন জ্যোতিষশাস্ত্রে আছে।
আর এই নামের প্রথম অক্ষরের দ্বারা বোঝা যায় যে সেই মানুষটি কেমন। তার বেশ কিছুটা চরিত্র সম্পর্কে নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে বলা যায়।
আজ আমরা ইংরেজি বর্ণমালার ‘K’ দিয়ে শুরু নামের ব্যক্তিদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য জানব।
‘K’ বর্ণটিকে আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতিনিধিও বলা হয়। এঁরা একা থাকতে পছন্দ করেন।
বন্ধু নির্বাচনের ব্যাপারেও এঁরা খুবই খুঁতখুতে। অসংখ্য বন্ধুর তুলনায় এঁরা কয়েকজন কাছের বন্ধুর ওপরে বেশি নির্ভরশীল। তবে কখনও কখনও এঁরা একাকিত্বেও ভোগেন।
কাছের মানুষের যত্ন নেওয়া, ভালোবাসা, তাঁদের কথা ভাবা এগুলো এঁদের স্বভাবজাত অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তবে এঁদের একতরফা প্রচেষ্টা সর্বদা সুফল দেয় না, উল্টোদিকের মানুষটি থেকে যখন একই যত্ন এঁরা পান না, তখন হতাশায় ভুগতে শুরু করেন।
অত্যধিক যত্নশীল ও ছোট সামাজিক বৃত্তের মধ্যে থাকতে পছন্দ করলেও এঁদের সাহসের অভাব নেই। সবচেয়ে বড় কথা বর্তমান স্বার্থপরতার যুগে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসতে গেলেও যে একবুক সাহসের প্রয়োজন তা এঁদের বিলক্ষণ আছে।
এঁরা এমন অনেক কাজই জানেন যা সত্যি গর্ব করার মতো বিষয়। এই ব্যাপারে এঁরা নিজেরাও যথেষ্ট সচেতন, তাই এঁরা মনে মনে গর্বিত হন ও আত্মবিশ্বাস অনুভব করেন।
নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসার মানুষটিও কিন্তু কখনও কখনও চরমপন্থা অবলম্বন করেন। এঁরা আসলেই তাই। সামাজিক ভাবে খানিকটা তফাতে থাকার কারণেও এঁদের মধ্যে নানা বিষয়ে জেদ বাড়তে থাকে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে ‘K’ বর্ণ দিয়ে শুরু নামের ব্যক্তিরা নতুন সূচনার প্রতীক। তাই এঁদের জীবনে যতই জড়ঝাপটা আসুক না কেন, এঁরা ফের নতুন করে বেঁচে ওঠেন।
তবে এমন কথাও বলা হয় এঁরা জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব একটা পরিবর্তন বা বিবর্তনের পক্ষে নয়। ফলে এই নামধারী ব্যক্তিরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই রকম বৈশিষ্ট্য-সহ বেঁচে থাকেন। তাই এঁদের জীবনের স্থিতিশীলতা ও প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী বর্ণের মানুষও বলা হয়।