13 March, 2025
BY- Aajtak Bangla
সুস্থ শরীর ও মন বজায় রাখতে পর্যাপ্ত ও গভীর ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকেরই রাতে ঘুমের সমস্যা হয়, যা ধীরে ধীরে নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে।
প্রোবায়োটিক হল অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ানোর এক বিশেষ উপাদান। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রাম প্রোবায়োটিক ইনটেক করলে ঘুমের মান উন্নত হয়। দই, ছাছ, ফার্মেন্টেড মিল্ক, ও সোয়া বেভারেজ প্রোবায়োটিকের উৎকৃষ্ট উৎস।
প্রিবায়োটিক এমন এক ধরনের ফাইবার, যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে এবং হজমশক্তি উন্নত করে। রসুন, পিঁয়াজ, কলা, সোয়াবিন, অ্যাসপারাগাস, গম, সিরিয়াল ও ব্রেড প্রিবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার।
সিনবায়োটিক হল প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিকের সংমিশ্রণ, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, সিনবায়োটিক ইনটেক করলে ঘুমের সময়সীমা বৃদ্ধি পায়। দই, বিভিন্ন ধরনের চিজ, আইসক্রিম, ও প্রোবায়োটিক ড্রিঙ্কস সিনবায়োটিকের উৎকৃষ্ট উৎস।
পোস্টবায়োটিক হল অন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া দ্বারা তৈরি উপাদান, যা ঘুমের গুণগত মান উন্নত করে। কিমচি, ফার্মেন্টেড দুধজাত খাবার, এবং কিছু প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট পোস্টবায়োটিকের ভালো উৎস।
ফার্মেন্টেড খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক থাকে, যা ঘুমের ব্যাঘাত কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, পান্তা ভাত, দই, কিমচি ও ফার্মেন্টেড মিল্ক ঘুমের মান বাড়াতে সাহায্য করে।
ম্যাগনেশিয়াম শরীরকে শিথিল করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, ফলে ঘুম ভালো হয়। কাজুবাদাম, কুমড়োর বীজ, পালং শাক, ও কলায় প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম থাকে।
ট্রিপটোফান একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যা সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে, ফলে ঘুম গভীর হয়। ডিম, টার্কি, বাদাম, এবং দুগ্ধজাত খাবারে ট্রিপটোফান থাকে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মানসিক চাপ কমিয়ে ঘুমের গুণগত মান উন্নত করে। সামুদ্রিক মাছ, আখরোট, ও চিয়া সিড ওমেগা-৩-এর ভালো উৎস।