29 APRIL, 2025

BY- Aajtak Bangla

নাক ফোটালে শরীরে এসব উপকার হয়, জানলে অবাক হয়ে যাবেন

নাক ফোটান ভারতীয় ঐতিহ্যের একটি অংশ। আপনি নিশ্চয়ই আপনার  বাড়িতে অনেক মহিলাকে নোজ পিন পরা দেখেছেন।

ঐতিহ্য ছাড়াও, মহিলারা ফ্যাশন এবং সৌন্দর্যের জন্যও নোজ পিন পরেন। আধুনিক  যুগে, নোজ পিনের পাশাপাশি, নাকের দুল এবং নাকের রিংও ফ্যাশনে এসেছে।

আমরা হয়তো নাক ফোটানোকে  ফ্যাশন এবং সৌন্দর্য হিসেবে বিবেচনা করি কিন্তু আয়ুর্বেদে এটি স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত। হ্যাঁ, নাক ফোটান  কেবল ফ্যাশন নয়, এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে।

নাক ছিদ্র করাকে আকুপাংচার পদ্ধতির অধীনে বিবেচনা করা হয়।  নাক ফুটো করার বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে যে নাক ছিদ্র করলে মহিলাদের পিরিয়ডের ব্যথা থেকে  মুক্তি পাওয়া যায়। এই ছিদ্র প্রতি মাসে পিরিয়ডের সময় তলপেটের ব্যথা কমায়, কারণ বাম নাসারন্ধ্রের কিছু স্নায়ু পেটের নীচের অংশে উপস্থিত ডিম্বাশয়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে।

পিরিয়ডের ব্যথায়

যদি বাম নাকে ছিদ্র করা হয়, তাহলে প্রসবের সময় মহিলাদের জন্য এটি খুব সহজ হয়ে যায়। যেহেতু বাম নাকের ছিদ্রের স্নায়ুগুলি ডিম্বাশয়ের সঙ্গে  সংযুক্ত, তাই এই নির্দিষ্ট স্থানে নাক ছিদ্র করলে প্রসবের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং প্রক্রিয়াটি আরও সহজ হয়। এই শিরাগুলি ফার্টিলিটি  বৃদ্ধিকারী হরমোন উৎপন্নকারী ছিদ্রগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করে।

প্রসবের সময় সুবিধা

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নাক ছিদ্র করাকে আকুপাংচার পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করেন, এটি সম্পন্ন করলে কেবল শারীরিক স্বাস্থ্যই নয়, মানসিক স্বাস্থ্যও বৃদ্ধি পায়। নাক ছিদ্র করালে মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে অনেক আরাম পাওয়া যায়। এটি মনকে শান্ত করে এবং মনোযোগও উন্নত করে।

মাইগ্রেন এবং সাইনাসে

শুধু তাই নয়, নাক ছিদ্র করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শ্বাসযন্ত্রের কর্মক্ষমতা  বৃদ্ধি পায়। আয়ুর্বেদে আরও বলা হয়েছে যে নাক ছিদ্রের সাহায্যে সাইনাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। যদি আপনার দীর্ঘস্থায়ী সাইনাসের সমস্যা থাকে অথবা ঘন ঘন নাকের সংক্রমণ হয়, তাহলে নাক ছিদ্র করলে আপনার আরাম হতে পারে।

নাক ফুটো করলে শরীরের অনেক অংশের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি শরীরের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে চাপ সৃষ্টি করে যা ব্যথা কমানোর হরমোন তৈরি করে। এটি শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ঠিক যেমন আকুপাংচারে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন বিষয়ের কথা বলা হয়েছে, তেমনি নাক ছিদ্র করাও এর একটি অংশ বলে মনে করা হয়।

শরীরের ব্যথার জন্য

এর সাহায্যে, শুধুমাত্র ডিম্বাশয় অর্থাৎ জরায়ুর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না, বরং শরীরের প্রজনন হরমোনগুলিও উদ্দীপিত হয়।

প্রায়শই মহিলারা নাক ছিদ্র করে  সোনা, রুপো এবং হীরে পরেন। এই ধাতুগুলি নাকে নথ, কানের দুল, রিং ইত্যাদি আকারে পরা হয়।

ব্যবহারের উপকারিতা

আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে যে এই ধাতুগুলির প্রাকৃতিক নিরাময় ক্ষমতা রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে উপকারী। এই ধাতুগুলির সাহায্যে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ানো যেতে পারে।