8 MAY, 2025
BY- Aajtak Bangla
কথায় বলে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। আর পুরনো ঘি কিন্তু গুণে বাড়ে। চিকিৎসকমহলে পুরনো ঘিয়ের দোষ-গুণ নিয়ে নানা মত রয়েছে।
যদিও ভারতীয় চিককিৎসা পদ্ধতিতে পুরনো ঘিয়ের নানা গুণের বর্ণনা আছে। ১০ বছরের পুরনো ঘিকে ভিটামিন ও প্রোটিনের আকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আর ১০০ বছরের পুরনো ঘি হল মৌহষধি। তা যেমন সৌন্দর্য চর্চায় ব্যবহার করা যায়, তেমনই রোগের নিরাময়েও তার বহু ব্যবহার রয়েছে।
এই বিষয়ে দেশের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’-এর একটি গবেষণাপত্রও আছে। সেখানে ঘিয়ের উপকারিতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পুরনো ঘিয়ের প্রসঙ্গও এসেছে।
আধ চামচের মতো পুরনো ঘি রোজ সকালে খালি পেটে খেলে তা পেটের যে কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে বলে দাবি।
ময়েশ্চারাইজ়ারের মতো পুরনো ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের যে কোনও ক্ষত নিরাময়ে এই ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাতের ব্যথা, পিঠ-কোমরের ব্যথাবেদনায় মলম হিসেবে পুরনো ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে।
পুরনো ঘি গলিয়ে নাক দিয়ে টানলে সর্দি-কাশি, সাইনাস, কাশি, বুকে ব্যথার সমস্যা দূর হতে পারে বলে দাবি।
পুরনো ঘি ব্যবহার করতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই করা উচিত। কারণ ঘি যত পুরনো হবে, ততই তাতে ছত্রাক জন্মাবে।
অম্বলের ধাত থাকলে, পুরনো ঘি সরাসরি খাওয়া যাবে না। এতে বদহজম বাড়বে। যদি কোনও ক্রনিক রোগ থাকে, তা হলে পুরনো ঘি ব্যবহার করা উচিত হবে কি না, তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে হবে।