BY- Aajtak Bangla

বাড়িতেই হবে অর্কিডের বাগান, নিয়মগুলো জেনে নিন

8 ecember, 2023

অর্কিড অনেকেরই প্রিয়। কিন্তু এ অর্কিড যদি বাড়িতে লাগাতে পারেন তাহলে কেমন হয়?

এক্ষেত্রে অনেকেরই ধারণা অর্কিড লাগানো কিংবা বড় করা কঠিন।

 তবে বাস্তবতা হলো, কিছু অর্কিড রয়েছে যেগুলোকে সহজেই বড় করা যায়।

বাজারে বা নার্সারিতে যেসব অর্কিড পাওয়া যায় সেগুলোর অধিকাংশই হাইব্রিড প্রজাতির।

আপনি যদি অর্কিড পালন শুরু করতে চান তাহলে মনে রাখতে হবে এমন সব অর্কিড নিন যেগুলো পালন করা সহজ। এক্ষেত্রে মথ অর্কিড হতে পারে  আদর্শ।

এছাড়া রয়েছে ফ্যালেইনপসিস ও ক্যাটলিয়া। এ অর্কিডগুলোতে বেশি আলো প্রয়োজন হয় না। এছাড়া বিভিন্ন মাত্রার আর্দ্রতাও গ্রহণ করতে পারে এগুলো। তবে অতিরিক্ত আর্দ্রতা বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ অতিরিক্ত জল দিলে অর্কিড মারা যেতে পারে।

অর্কিড বড় করার জন্য সরাসরি রোদ নয় বরং আলো প্রয়োজন হয়। ক্যাটলিয়া ও বান্দ্রা প্রজাতির অর্কিডের জন্য অবশ্য উজ্জ্বল আলো প্রয়োজন হয়। তবে কম আলোতে অধিকাংশ অর্কিডই বাঁচতে পারে।

পুরু ও ঘন পাতার অর্কিড সাধারণত বেশি আলো গ্রহণ করতে পারে। অন্যদিকে হালকা-পাতলা প্রজাতির অর্কিড কম আলো গ্রহণ করতে পারে।

 অনেকেই নতুন অর্কিড লাগিয়ে বাড়ির ভেতরের প্রায় অন্ধকার স্থানে রাখেন। এতে অর্কিড মারা যায় কিংবা দুর্বল হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জাতের আলোর প্রয়োজন অনুযায়ী অর্কিড জানালায়, বারান্দায় কিংবা এ ধরনের নিয়ন্ত্রিত আলোময় স্থানে রাখতে পারেন।

অর্কিডের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা হতে পারে ২১ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রার মধ্যেই রয়েছে ফ্যালেইনোপসিস অর্কিড। বাড়ির তাপমাত্রা যেন খুব গরম কিংবা খুব ঠাণ্ডা না হয়।

অধিকাংশ অর্কিডই প্রায় ৭০ শতাংশ আর্দ্রতায় ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারে। তবে বাতাসের আর্দ্রতা যদি তার চেয়ে বেড়ে যায় তাহলে অর্কিডকে সেই আর্দ্রতা থেকে বাঁচাতে হবে। এছাড়া বাতাসের আর্দ্রতা যদি খুব কমে যায় তাহলে ঘন ঘন পানি স্প্রে করতে হবে।

অর্কিডের বৃদ্ধির জন্য নাইট্রোজেন, সালফার, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন। এর মধ্যে কয়েকটি উপাদান তারা গাছের কাণ্ড, পাথর, ধূলোবালি ইত্যাদি থেকে ও কয়েকটি উপাদান বাতাস থেকে নেয়।

অতিরিক্ত জল  দিলে অর্কিড মারা যেতে পারে। তাই যখনই মনে হবে যথেষ্ট আর্দ্রতা রয়েছে তখনই জল দেওয়া বন্ধ করুন।

অর্কিড গাছ ছেটে নিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, অপ্রয়োজনে কখনোই ছাটা উচিত নয়। এক্ষেত্রে পুরনো পাতা, শেকড় কিংবা অপ্রয়োজনীয় অংশ কাঁচি দিয়ে ছেটে দিতে পারেন। 

তবে ছাটার আগে ছুরি-কাঁচি বা টুলগুলো সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করে নিতে ভুলবেন না।