14 MAY, 2025
BY- Aajtak Bangla
সাধারণত কৃষকরা বর্ষাকালে ধান চাষ করেন। ধানের ফসলে সাধারণত প্রচুর জলের প্রয়োজন হয়।
সেচ সমস্যার সম্মুখীন কৃষকদের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। জলের ব্যবস্থা করার জন্য অতিরিক্ত খরচের প্রয়োজন।
এতে চাষের খরচ বেড়ে যায়, কিন্তু এখন বাসমতি চালের কিছু নতুন জাত এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। এই নতুন জাতটি খরা কবলিত অঞ্চলেও ভাল ফলন দিতে সক্ষম। কম জলেও ভালো ফসল দেওয়ার ক্ষমতা এই জাতের বিশেষত্ব। এতে কৃষকদের খরচ কমবে এবং তাদের লাভ বাড়বে।
এই উন্নত জাতের বাসমতি ধান চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। চাষে কম জল লাগে এবং কম সময়ে বেশি ফলন পাওয়া যায়।
পুসা বাসমতি-৮৩৪: এটি ১২৫ থেকে ১৩০ দিনের মধ্যে পাকা হয়। এই জাতের ধানের পাতায় ব্লাইট রোগ খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। এই জাতের বাসমতি কম উর্বর মাটি বা কম জলের এলাকায়ও চাষ এবং প্রস্তুত করা যেতে পারে। পুসা ৮৩৪ বাসমতি ধান কৃষকদের প্রতি হেক্টরে ৬০ থেকে ৭০ কুইন্টাল ফলন দিতে পারে।
স্বর্ণ পুর্বী ধান-১: এটি বাসমতির একটি বিশেষ জাত। কম জলের অঞ্চলে এটি সহজেই চাষ করা যায়। খরা সহনশীল এই জাতটি আগাম ধান বপনের জন্য খুবই ভাল। এটি ১১৫ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে পাকা হয়। কম জলে জন্মানো এই জাতের ধান প্রতি হেক্টরে ৪৫ থেকে ৫০ কুইন্টাল উৎপাদন দেয়।
পুসা বাসমতি-১১২১: এটি বাসমতির একটি বিশেষ জাত। এই বাসমতি ধানের জাতের বিশেষত্ব হল এটি শুষ্ক অঞ্চলেও সহজেই চাষ করা যায়। এই জাতটি ১৪০ থেকে ১৪৫ দিনের মধ্যে পাকে। এটি ধানের একটি আগাম জাতের ধান এবং এর দানা লম্বা এবং পাতলা। প্রতি হেক্টরে ৪০ থেকে ৪৫ কুইন্টাল ফলন পাওয়া যায়।
স্বর্ণ সুখি: এই ধানের জাতটি কম জলযুক্ত অঞ্চলে উচ্চ ফলনশীল। এই জাতের ধানে রোগ এবং পোকামাকড় খুব একটা কার্যকর নয়, এই ধানের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বেশি। প্রতি হেক্টরে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ কুইন্টাল ফলন দেয়। এই জাতটি ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে পাকে।
পুসা বাসমতি ১৫০৯: এই জাতটি ১২০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত হয়। একই সময়ে, এর গড় প্রতি হেক্টরে প্রায় ২৫ কুইন্টাল। এই জাতের দানা লম্বা এবং পাতলা। অন্যান্য ধানের জাতের তুলনায় এই জাতের চাষে ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত জল সাশ্রয় হয়।