8 January 2024
BY- Aajtak Bangla
বাচ্চাদের বড় করা সহজ কাজ নয়। শিশুরা ছোট হোক বা বড়, তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রত্যাশা থাকে।
খাবার থেকে শুরু করে খেলনা, খেলাধুলা, পড়াশুনা, বাচ্চাদের পছন্দ-অপছন্দের যত্ন নেওয়া, তাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াসহ প্রতিটি বিষয়েই শুধু খেয়াল রাখলেই হবে না, দেখতে হবে কোনো কিছুই যেন তাদের ভুলভাবে প্রভাবিত না করে।
এই কারণেই বলা হয় যে সন্তান লালন-পালন করা এই পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ এবং যার জন্য কেউ কখনও কোনও পুরস্কার বা প্রশংসা পায় না।
কোনো কোনো সময় ভুল করা, ভুল বলা, এটা শিশুদের মধ্যে নতুন কিছু নয়। তবে, আপনি কীভাবে এই জিনিসগুলি পরিচালনা করেন এবং আপনার সন্তানদের সঠিক দিকে নির্দেশ করেন তা ভাল অভিভাবকোর লক্ষণ।
কীভাবে শিশুদের সঠিক পাঠ শেখানো যায়, কীভাবে তাদের বোঝানো যায়, প্রতিটি অভিভাবকের মনে এই প্রশ্ন জাগে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনি চিৎকার না করে কীভাবে আপনার সন্তানদের সঠিক শিক্ষা দিতে পারেন।
বাবা-মা চান তাদের সন্তান যেন কর্মজীবনে সফল হয়, সে যে কাজে হাত দিয়েছে তাতে সফল হয়। কিন্তু, সাফল্য বা ব্যর্থতার জন্য একা সন্তান দায়ী নয়। কারণ, বাবা-মাকে বলা হয় শিশুদের প্রথম শিক্ষক, এমন পরিস্থিতিতে আপনিই পারেন তাদের সঠিক দিক দেখাতে। বকাঝকা বা চিৎকার করে নয়, ভালোবাসার সঙ্গে বাচ্চাদের বোঝান।
আপনার সন্তানকে নিজের উপর নির্ভর করতে শেখান। নিজের যত্ন নিতে সক্ষম হওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করুন। যাতে, সে তার কাজ পরিচালনা করতে পারে।
অনেক সময় বাবা-মা তাদের কাজে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে তারা তাদের সন্তানদের কতটা ভালোবাসেন তা দেখাতে বা প্রকাশ করতে ভুলে যান।
বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলুন এবং তাদের ভালবাসতে এবং তাদের যত্ন নিতে ভুলবেন না। এটি আপনার এবং শিশুর মধ্যে বন্ধনকে শক্তিশালী করে।
শুধু শিশুরা নয়, বড়দেরও তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। বাবা-মা যদি সন্তানের সামনে তাদের ভুল স্বীকার করা শুরু না করেন, তাহলে শিশুও তাদের ভুল স্বীকার করা বন্ধ করে দেবে। তাই আপনার ভুল হলে ক্ষমা চান।
শৃঙ্খলা জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নয়, শিশুদের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি আপনার সন্তানকে সঠিকভাবে লালন-পালন করছেন তা নিশ্চিত করতে, তাকে শৃঙ্খলা শেখান। তাদের শেখান কিভাবে তাদের কাজ করতে হয়, খেতে হয়, সুন্দরভাবে কথা বলতে হয়।
তারা যখন ভুল করে তখন তাদের ভালবাসার সঙ্গে ব্যাখ্যা করুন। আপনি চিৎকার করে, গালি দিয়ে বা তাদের প্রতি ব্যঙ্গ করে তাদের অপমানিত বোধ করাতে পারেন, যা আপনার এড়ানো উচিত। এটি শিশুদের মস্তিষ্ক ও মনকে প্রভাবিত করতে পারে। তাদের ভালবাসা এবং যত্ন সহ জিনিস শেখান।