31 JAN, 2025

BY- Aajtak Bangla

বাবা-মায়ের এই ৫ অভ্যাসের জন্যই সন্তানরা কুঁড়ে হয়ে যায়

সন্তান লালন-পালন করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ, তবে বাবা-মায়েরা যদি সময়মতো তাদের কিছু অভ্যাসের উন্নতি করেন, তাহলে শিশুরা ভবিষ্যতে আরও দায়িত্বশীল এবং আত্মনির্ভরশীল হতে পারে।

আসলে, অনেক সময় বাবা-মা, অজান্তে বা ভালবাসার কারণে, এমন কিছু করতে শুরু করে যা শিশুর অভ্যাসকে নষ্ট করে এবং তাকে অলস করে তোলে।

এমতাবস্থায়, অভিভাবকদের সময়মতো সতর্ক হওয়া এবং সন্তানদের আত্মনির্ভরশীল ও পরিশ্রমী হওয়ার সুযোগ দেওয়া জরুরি।

এই অভ্যাসগুলো যদি সময়মতো বদলানো না হয় তাহলে তা শিশুদের পুরো জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে।

অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের ছোটখাটো চাহিদারও যত্ন নেন এবং তাদের সমস্ত কাজ নিজে করেন। এই অভ্যাস শিশুদের অলস করে তুলতে পারে। আসলে, তারা নিজেরাই কাজ করার সুযোগ পান না এবং কীভাবে সেই কাজটি করবেন তা তারা বুঝতে অক্ষম। অতএব, বাচ্চাদের নিজেরাই ছোট ছোট কাজ করার সুযোগ দিন।

আজকাল শিশুদের ব্যস্ত রাখতে ফোন দেওয়া অভিভাবকদের সাধারণ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই অভ্যাস শিশুদের শারীরিক ও মানসিকভাবে অলস করে তোলে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রিনের সামনে বসে থাকলে শিশুরা শুধু শারীরিকভাবে দুর্বল হয় না, তাদের মানসিক ক্ষমতাও কমতে থাকে। তাই বাইরের কাজে বা সৃজনশীল কাজে শিশুদের ব্যস্ত রাখুন। যাতে তাদের মন তীক্ষ্ণ ও শরীর সুস্থ থাকে।

অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের অলস, মূল্যহীন ইত্যাদি নেতিবাচক লেবেল দেন। এতে বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাস ভেঙে যায় এবং তারা তাদের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস করা বন্ধ করে দেয়। বাচ্চাদের সবসময় অনুপ্রাণিত করুন, তাদের প্রশংসা করুন এবং তাদের বোঝান যে তারা যে কোনও কাজে সফল হতে পারে। তাদের লেবেল করা তাদের মনোবল ভেঙে দেয় এবং তাদের আরও অলস করে তোলে।

শিশুরা তাদের পিতামাতাকে আদর্শ হিসাবে বিবেচনা করে। বাবা-মা যদি অলস হন এবং ঘরের কাজ এড়িয়ে চলেন, তাহলে শিশুরাও তা শিখে। শিশুদের কঠোর পরিশ্রম করার, সক্রিয় এবং উত্সাহী হওয়ার জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করুন। বাচ্চারা যখন দেখবে যে তাদের বাবা-মা কঠোর পরিশ্রম করে, তারাও একই জিনিস শিখবে এবং অলস হবে না।

অনেক সময় বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের ছোটখাটো সমস্যা থেকেও রক্ষা করে থাকেন। তারা নিজেরাই শিশুদের সমস্যার সমাধান খুঁজে নেয়, যাতে শিশুরা কষ্ট না পায়। কিন্তু এর কারণে শিশুরা অসুবিধার সম্মুখীন হতে শেখে না। শিশুদের মাঝে মাঝে সংগ্রাম করার সুযোগ দিন। যাতে তারা নিজেরাই তাদের সমস্যার সমাধান খুঁজে পায় এবং স্বাবলম্বী হতে পারে।