BY- Aajtak Bangla
13 December, 2023
বর্তমানে সব অভিভাবকদের নিজের সন্তানকে নিয়ে এটাই অভিযোগ যে তারা পরিবারের সঙ্গে থাকতে চায় না, একা থাকে চায়।
এই ধরনের শিশুরা সচরাচর মা-বাবাদের সঙ্গে নিজেদের ভাবনা-চিন্তা শেয়ার করতে চান না। যার ফলে অভিভাবকরাও শিশুদের মনের কথা বুঝতে পারেন না।
কিন্তু এর পিছনে কী কারণ? আসুন জেনে নিই মা-বাবাকে এড়িয়ে যাওয়ার এই কারণগুলি।
আপনার যদি দুটো সন্তান থাকে এবং আপনি যদি সব সময় একজনকে অন্যের মতো হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তাহলে এই স্বভাব বদলে ফেলুন। দুই সন্তানকেই সমানভাবে দেখুন।
অনেক সময়ই দেখা যায় যে দুই সন্তান থাকলে মা-বাবা একজনের তুলনায় অন্যজনকে বেশি ভালোবাসেন। যেটা একেবারেই করা উচিত নয়। দুজনকেই সমান নজরে দেখুন।
অনেক সময়ই শিশুরা তার মা-বাবার থেকে পাওয়া সামান্য সমালোচনাও নিতে পারেন না। মা-বাবার ক্ষেত্রে খুব কঠিন হয়ে পড়ে এইসব শিশুদের ওপর নজর রাখা।
কিন্তু মা-বাবার থেকে এই দুরত্ব বড় হওয়ার পরও শিশুকে তাদের থেকে মানসিকভাবে দূরে নিয়ে চলে যায়।
শিশুদেরও নিজেদের মতামত থাকতে পারে। সবসময় অভিভাবকদের হস্তক্ষেপ না করাই ভালো। আসলে মা-বাবারা এটা তাঁদের অধিকার বলে মনে করে।
কিন্তু অভিভাবকদের বোঝা উচিত সবসময় অপ্রয়োজনে শিশুদের পরামর্শ না দিয়ে তাদের সিদ্ধান্তকেও মত দেওয়া ভালো।
শিশুরা যখন বড় হতে শুরু করে তখন অভিভাবকদের উচিত ধীরে ধীরে সন্তানদের সিদ্ধান্তকেও গুরুত্ব দেওয়া। সন্তানের সঙ্গে কীভাবে কথা বলবেন তা মাথায় রাখা উচিত অভিভাবকদের।
সন্তানের পছন্দ-অপছন্দকে মান্যতা দিতে শিখতে হবে অভিভাবকদের। একটা বয়সের পর সন্তানের বাধন খুলে দিতে হয়, তবেই মা-বাবার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো থাকে।