04 OCTOBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
অনেক শিশু লাজুক প্রকৃতির হয়। বাইরের জগত, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মিশতে পারে না। তারা বাবা, মা ছাড়া কারওর সঙ্গেই মিলেমিশে থাকতে পারে না।
পড়াশোনা ও খেলাধুলার পাশাপাশি শিশুদের সামাজিক মূল্যবোধ দেওয়াও জরুরি। নীরব ও একা থাকলে তাদের বিকাশ থমকে যায়।
সামাজিক সম্পর্কগুলি আত্মসম্মানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে শিশুর পক্ষে সামাজিকীকরণ এবং নতুন লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করা খুব কঠিন। তাই বাবা, মায়েরা কী করবেন?
অনেক শিশু ইতিমধ্যে সামাজিক। তিনি মানুষের সাথে দেখা করতে পছন্দ করেন। বাড়িতে আত্মীয়স্বজন আসতেই অনেক শিশু ঘরে চলে যায়। বরং বাবা-মায়ের উচিত তাদের এক গ্লাস জল আনতে বলা বা পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে শেখানো।
অনেক শিশু তাদের বাবা-মা বা কাছের মানুষ ছাড়া অন্য কারও কাছে খুব একটা মুখ খোলে না। এরা অন্তর্মুখী এবং বাইরের বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অক্ষম। বর্তমান সময়ে, শিশুদের সক্রিয় এবং ইন্টারঅ্যাকটিভ হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অভিভাবকরা শিশুদের কথা বলতে শেখান। এতে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং একাকীত্ব দূর হবে। বাচ্চাদের বন্ধু করতে এবং অন্যদের কাছে খোলামেলা রাখতে শেখান।
এ জন্য তাদের সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, ধর্মীয় ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা উচিত। পিতামাতার উচিত তাদের বন্ধুদের মধ্যে খাবার বা জিনিস ভাগ করে নেওয়া শেখানো।
অভিভাবকরা সন্তানদের প্রশ্ন করতে শেখান।
শিশুদের কিছু করতে বাধ্য করবেন না। তাদের প্রতিভা বুঝে এবং সন্তানের ক্ষমতা কী তা জেনেই এগিয়ে যান। বাবা-মায়েরা সন্তানের গুণগুলো চিনুন।