BY- Aajtak Bangla
26 MAY, 2024
বিশ্বের প্রতিটি শিশু তার পিতামাতার চোখের মণি। এটা ঠিক কারণ বাবা-মায়ের মতো সন্তানকে কেউ ভালোবাসতে পারে না।
আপনিও অবশ্যই আপনার সন্তানকে অনেক ভালোবাসবেন এবং তাকে আপনার হৃদয়ের কাছাকাছি রাখবেন।
কিন্তু ভালোবাসার তাড়নায় আপনি কি আপনার সন্তানকে প্ররোচিত করে নষ্ট করছেন?
আমরা যদি দেখি, বাকি বিশ্বের তুলনায়, ভারতীয় বাবা-মায়েরা অতিরিক্ত স্নেহের নামে তাদের সন্তানদের বোকা এবং ব্যর্থ করে তোলে। আসুন জেনে নিই স্নেহের নামে কীভাবে নিজের সন্তানের ক্ষতি করছেন।
মনস্তাত্ত্বিকরা বলছেন, ভারতীয় বাবা-মায়েরা অতিরিক্ত আদর করার কারণে তাদের সন্তানদের বোকা বানাচ্ছেন। শিশুরা এই স্নেহের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না, যা ভবিষ্যতে তাদের ক্ষতি করে।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, বিদেশি বাবা-মায়ের তুলনায় ভারতীয় বাবা-মা তাদের সন্তানদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। লালন-পালনের নামে বাড়ন্ত শিশুদের প্রতিটি কাজ মা-বাবা নিজেই করেন যার কারণে শিশুরা স্বাবলম্বী হওয়ার প্রশিক্ষণ পায় না।
বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের সমস্ত কাজ নিজেরাই করা শুরু করে, যেমন নিজের হাতে বাচ্চাকে খাওয়ানো, বাচ্চার জুতোর ফিতে বাঁধা, আলমারি পরিষ্কার করা ইত্যাদি।
অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের খাবার বা জল কিনতেও দেয় না। এতে শিশুর ক্ষমতা প্রভাবিত হয় এবং শিশু দায়িত্বশীল হতে অক্ষম হয়। এভাবে বড় হওয়ার পরও শিশু তার নিজের কাজ নিজে করতে পারে না এবং তার আত্মবিশ্বাসের অভাব হয়। এটাকে প্যারেন্টিং ট্রেনিং হিসেবে দেখা উচিত।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সন্তানদের সক্ষম করে তুলতে অভিভাবকদের উচিত তাদের নিজের কাজ নিজে করতে শেখানো। নিজের জুতো পরা, নিজের জল নিজে বহন করা, নিজের খাবার খাওয়া, নিজের ঘর এবং আলমারি পরিষ্কার করা, এই সমস্ত কাজ শিশুর ধীরে ধীরে করা উচিত।
একটি আট বছর বয়সী শিশুকে এই সব কাজ করতে শেখা উচিত যাতে সে দায়িত্বশীল হয় এবং আত্মবিশ্বাসী হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুকে কাজ না করে তাকে নিজের কাজ নিজে করতে শেখান, এতে তার জীবনযাত্রার দক্ষতা গড়ে উঠবে। তাকে সাজানোর বদলে পোশাক পরতে শেখান। এতে করে শিশু জীবনে টিকে থাকতে শিখবে এবং তার ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে।