30 AUGUST, 2024
BY- Aajtak Bangla
১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সে শিশুর শুধুমাত্র শারীরিক বিকাশেই নয়, মানসিক অবস্থাতেও অনেক পরিবর্তন ঘটে।
এই বয়সে, বাচ্চাদের আবেগও শীর্ষে থাকে, কিছু জানার কৌতূহল হোক, খুশি হোক বা রাগ, তাই এই বয়সে শিশুকে খুব ভেবেচিন্তে হ্যান্ডেল করতে হবে।
এই বয়সে সন্তানকে যদি কিছু বিষয় শেখানো হয়, তবে তা শুধু তার বর্তমানের জন্যই উপকারী নয়, তার ভবিষ্যৎকে উন্নত করার জন্যও এটি প্রয়োজন।
বড় স্কুলে শিশুকে যতই ভালো শিক্ষা দেওয়া হোক না কেন, প্রতিটি দক্ষতা শেখানো হোক, কিন্তু আচরণ, পৃথিবীকে বোঝার দৃষ্টিভঙ্গি, সঠিক ও অন্যায়ের পার্থক্য, বাবা-মায়ের চেয়ে ভালো কেউ শেখাতে পারে না।
আসুন জেনে নেওয়া যাক বয়ঃসন্ধিকালে সন্তানকে কী কী বিষয় শেখানো জরুরি।
শিশুরা যখন কিশোর হয়, তারা তাদের চেহারা নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়ে। এই বয়সে, বাচ্চাদের বোঝানো খুব গুরুত্বপূর্ণ যে তাদের চেহারার ভিত্তিতে নিজেকে বা অন্য কাউকে বিচার করা উচিত নয়। এর চেয়ে বেশি, পড়াশোনা এবং নতুন দক্ষতার উপর সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
সন্তানের ভালো ভবিষ্যতের জন্য সঠিক সঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই অল্প বয়সেই তাকে শেখানো উচিত যে আপনি কম বন্ধুত্ব করলেও এমন লোকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন যাদের ভালো সঙ্গ রয়েছে এবং যারা আপনাকে পড়াশুনা ও ভালো কাজে সাহায্য করে।
বয়ঃসন্ধিকালে শিশুরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। তাদের বন্ধুদের দামী ফোন বা জুতো, জামাকাপড়, খেলনা ইত্যাদি আছে। আপনার সন্তানকে শেখান যেন নিজেকে অন্য কারো সঙ্গে তুলনা না করে, আপনি যা কিছু এবং আপনার কাছে যা কিছু আছে তা আপনার জন্য সেরা।
ছোটবেলা থেকেই সন্তানদের ছোট ছোট দায়িত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া বাড়িতে নেওয়া ছোট ছোট সিদ্ধান্তেও তাদের মতামত নিতে হবে। এতে শিশুরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে শক্তিশালী হবে এবং দায়িত্বশীলও হবে।
অনেক সময়, যখন একটি শিশু নতুন কিছু জিজ্ঞাসা করে বা এমন বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলে যা আজও আমাদের সমাজে খুব কমই বলা হয়, তখন অভিভাবকরা তাদের বকাঝকা করে চুপ করে দেন। এই কারণে শিশুরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে না এবং তারপর ধীরে ধীরে সেগুলি লুকিয়ে রাখতে শুরু করে।
তাই সন্তান যা বলে তা মনোযোগ সহকারে শুনুন এবং তার সঙ্গে আরামে এবং ভালবাসার সঙ্গে বসুন এবং তাকে বিস্তারিতভাবে বলুন। এর মাধ্যমে শিশুরা তাদের অনুভূতি ও চিন্তাভাবনা আপনার সঙ্গে শেয়ার করতে শিখবে।