27 MARCH, 2025
BY- Aajtak Bangla
শিশুদের সঠিকভাবে লালন-পালন করা একটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কাজ এবং এক অর্থে এটি একটি নেভার এন্ডিং কর্তব্য। এতে খুব বেশি পারফেকশন আশা করা ঠিক নয় কারণ বাবা-মায়েরাও তাদের সন্তানদের সঙ্গে নতুন জিনিস শেখেন এবং ধীরে ধীরে নিজেদের উন্নত করেন।
এই পরিস্থিতিতে, বাবা-মায়েরা প্রায়শই যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন তা হল তাদের সন্তানদের কীভাবে শাসন করবেন।
এখন, ছোট বাচ্চাদের জিদ এবং দুষ্টুমি করা স্বাভাবিক, কিন্তু যদি তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়, তাহলে তারা বড় হওয়ার পরেও একই মনোভাব ধরে রাখতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, বাচ্চাদের ভালোবাসার সঙ্গে বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করা এবং প্রয়োজনে তাদের একটু বকা দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু সবসময় বাচ্চাদের বকাঝকা করা ঠিক নয়। দিনের এমন কিছু সময় রয়েছে যখন আপনার বাচ্চাকে একেবারেই তিরস্কার করা উচিত নয়। এটি শিশুর মন, আত্মবিশ্বাস এবং আপনাদের দুজনের মধ্যে বন্ধনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বাবা-মায়ের উচিত তাদের সন্তানকে ঘুমনোর এক ঘন্টা আগে তিরস্কার না করার চেষ্টা করা। আসলে, যখন আপনি আপনার সন্তানকে রাগের বশে অপ্রীতিকর কিছু বলেন এবং সে সেই মুডে ঘুমোতে যায়, তখন এটি তার মনে প্রভাব ফেলে।
এই সমস্ত জিনিস কোথাও না কোথাও শিশুর অবচেতন মনে গেঁথে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, যখন শিশুটি নেতিবাচক আবেগ নিয়ে ঘুমোয়, তখন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেও তার মেজাজ নেতিবাচক থাকে। এর ফলে শিশুর পুরো দিনটি চাপপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
অতএব, ঘুমোতে যাওয়ার আগে আপনার সন্তানের সঙ্গে সর্বদা ইতিবাচক কথা বলুন এবং যদি সে ভুল করেও থাকে, তবুও তাকে ভালোবাসার সঙ্গে তা ব্যাখ্যা করার দিকে আরও মনোযোগ দিন।
এমনকি সকালে যখন শিশু ঘুম থেকে জেগে ওঠে, তখনও তার সঙ্গে নেতিবাচকভাবে কথা বলা বা তাকে তিরস্কার করা এড়িয়ে চলুন।
যদি শিশুটি খুব ছোট হয় তবে অবশ্যই এটি কিছুটা কঠিন হতে পারে। কারণ শিশুরা প্রায়শই স্কুলের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় এবং সকালের ব্রেকফাস্টের সময় অনেক বিরক্ত করে। কিন্তু চেষ্টা করুন যাতে আপনার সন্তানের সকালটা ইতিবাচকভাবে শুরু হয় এবং সে হাসতে খেলতে স্কুলে যায়।
যদি শিশুর সকালটা আনন্দময় হয়, তাহলে তার পুরো দিনটা ভালো যাবে এবং সে স্কুলেও ভালো ফলাফল করতে পারবে।