27  FEBRUARY, 2025

BY- Aajtak Bangla

এই ৫ সমস্যা হলে  কখনোই ব্যায়াম করবেন না, হাসপাতালে যেতে হবে

প্রতিদিন ব্যায়াম করা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।

 প্রতিদিন ব্যায়াম করলে পেশী শক্তিশালী হয় এবং শরীর সতেজ থাকে। যদি আপনি দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকতে চান, তাহলে প্রতিদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন।

তবে, সব পরিস্থিতিতেই ব্যায়াম আপনার জন্য উপকারী নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা শরীরের কিছু সমস্যায় ভুগছেন তাদের ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলা উচিত।

 বিশেষজ্ঞদের মতে, মাথাব্যথা থাকলে ব্যায়াম এড়িয়ে চলা উচিত। মাথাব্যথা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ব্যায়াম করেন। এর ফলে স্নায়ুতন্ত্রের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। মাথাব্যথার সমস্যাও বাড়তে পারে।

শরীরে উচ্চ রক্তচাপ বা ডিহাইড্রেশনের কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার শরীর এবং মনের বিশ্রাম প্রয়োজন।

কখনও কখনও ব্যায়াম করার সময় পেশীগুলিতে খিঁচুনি হয় এবং আহত হয়। এমন পরিস্থিতিতে, পায়ে আঘাত লাগলে ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলা উচিত।

অনেকেই এমন অবস্থাতেও ব্যায়াম করেন। কিন্তু আঘাত সারতে বেশি সময় লাগে। সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই, শরীরে কোনও আঘাত লাগলে কখনই ব্যায়াম করা উচিত নয়।

যদি আপনার কাশি, সর্দি, জ্বর এবং হালকা শরীরে ব্যথা থাকে তবে আপনার ব্যায়াম করা উচিত নয়। কারণ এই সময়ে ব্যায়াম করলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও দুর্বল হয়ে যাবে। ফলস্বরূপ, সংক্রমণ থেকে সেরে উঠতে আরও বেশি সময় লাগবে। অতএব, এমন পরিস্থিতিতে, সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ব্যায়াম এড়িয়ে চলাই ভালো।

যদি আপনার পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তাহলে আপনার ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ ঘুমের অভাব শরীর ও মনের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এই সময়ে পেশীগুলিও সক্রিয় থাকে। তাই, এমন পরিস্থিতিতে ব্যায়াম করার সময় আহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যদি আপনার অস্ত্রোপচার হয়ে থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনই ব্যায়াম করা উচিত নয়। কারণ অস্ত্রোপচারের পর শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে অনেক সময় লাগে। অতএব, ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার পরে এবং শরীরে উন্নতি হলেই কেবল ব্যায়াম করা উচিত। তবে হালকা ব্যায়াম করা উচিত।

 দ্রষ্টব্য: অতিরিক্ত কিছুই ভালো নয়। ব্যায়ামও মাঝারি হওয়া উচিত। অতিরিক্ত ব্যায়াম পেশীর ক্ষতি করতে পারে।

 (Disclaimer: আমাদের নিবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। আরও তথ্যের জন্য আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)