15 NOV, 2024

BY- Aajtak Bangla

এসব জাতের বীজই আলু চাষের জন্য সেরা, চাষিরা জেনে নিন

কৃষকরা যদি আলুতে ভাল ফলন চান তাহলে কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি। যেমন, আলু বপনের আগে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত? কোন সার কি পরিমাণে প্রয়োগ করতে হবে যাতে ফলন দ্বিগুণ হয়।

এই সব প্রশ্ন অবশ্যই কৃষকদের মনে আসে। এমন পরিস্থিতিতে আসুন জেনে নিই আলু চাষের সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে, যার ফলে কম খরচে বেশি উৎপাদন হবে।

আলু চাষে চূড়ান্ত চাষের আগে কৃষকদের প্রতি হেক্টরে আড়াই থেকে তিন কুইন্টাল কম্পোস্ট প্রয়োগ করতে হবে। আলু বপনের আগে এবং শেষ চাষের পরে প্রতি হেক্টরে ১০০ থেকে ১৫০ কেজি নাইট্রোজেন প্রয়োগ করতে হবে।

এছাড়া প্রতি হেক্টর জমিতে ৬০ থেকে ১০০ কেজি হারে ফসফরাস প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়াও, পটাশ প্রয়োগ করুন, যা আলু চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী, প্রতি একর ১৫০ কেজি হারে।

আলু চাষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বীজ নির্বাচন। মাঠ তৈরির পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ভাল মানের রোগমুক্ত বীজ নির্বাচন করা। শুধুমাত্র রোগ-প্রতিরোধী জাত নির্বাচন করুন।

বেলে দোআঁশ মাটি আলু চাষের জন্য উত্তম বলে বিবেচিত হয়। মাটির pH মান 4.8 থেকে 5.4 এর মধ্যে হওয়া উচিত।

আলু বপনের আগে ক্ষেত তিন থেকে চারবার ভালভাবে লাঙল দিতে হবে। তারপর আলু বপনের আগে জমিতে সার ছিটিয়ে দিন। বীজ বপনের সময় মনে রাখবেন যে বীজের আকার ২৫ মিমি থেকে ৪৫ মিমি হওয়া উচিত।

ভারতের কৃষকরা অনেক জাতের আলু চাষ করে। তবে কুফরি পুখরাজ, কুফরি অশোক, কুফরি অলংকার, কুফরি লালিমা এবং কুফরি এভারগ্রিন আলুর সেরা জাত।

এসব জাত বপন করলে বাম্পার ফলন পাওয়া যায়। একই সঙ্গে কম সময়ে ফসল চাইলে কুফরি অশোক, কুফরি অলংকার এবং কুফরি লালিমা সহ অনেক জাত রয়েছে। যা মাত্র ৭০ থেকে ১০০ দিনে তৈরি হয়।

এসব জাত চাষ করে কৃষকরা বাম্পার ফলন পেতে পারেন।