21 July, 2024
BY- Aajtak Bangla
একটু আলু-পটলের ঝোল হলে তাই দিয়েই ভাত খাওয়া হয়ে যায়। যদিও বাড়িতে পটল হলে অনেকে মুখ ব্যাজার করে ফেলেন। পটল মুখে রোচে না।
ভাল করে রান্না করলে পটলের স্বাদও অসাধারণ হতে পারে। ডালের সঙ্গে পটল ভাজা, পটলের দোর্মা, দুই পটলের মতো পদের কোনও তুলনা হয় না।
জানলে অবাক হবেন, পটলের দুর্দান্ত পুষ্টিগুণও রয়েছে। তাই সাধারণ সবজি ভেবে পটলকে হেলাফেলা করলে ভুল করবেন।
পটলে ক্যালোরি অত্যন্ত কম। ফ্যাটও নেই বললেই চলে। এদিকে পটলে ফাইবার রয়েছে ভরপুর। তাই ওজন কমানোর পরিকল্পনা থাকলে পটল খেতে পারেন।
এতে ক্যালোরি গ্রহণ ছাড়াই পেট অনেকটা সময় ধরে ভর্তি থাকবে। তবে খেয়াল রাখবেন, পটল যেন অতিরিক্ত তেলে ভাজা না হয়। হালকা ঝোল, কম তেলে ভাজা, কম তেলে রান্না করা তরকারি হিসাবে পটল খেতে পারেন।
পটলের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য হ্রাস করতে সাহায্য করে। কচি পটল হলে বীজসহ-ই খান। এতে অনেক উপকার পাবেন।
অতি সাধারণ পটলেই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন এ, সি-এর কারণে এটি দৃষ্টিশক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর এই সবজি। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বয়স, বলিরেখার ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, যাঁরা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন তাঁরা নিয়মিত পটল খেতে পারেন। যাঁদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও পটল খেতে পারেন।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, সর্দি-কাশি, গলার সমস্যা, মাথার যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে পটল। তবে একদিন খেয়েই ওষুধের মতো উপকার আশা করবেন না।