2 DECEMBER, 2024

BY- Aajtak Bangla

চিংড়ি খেতে গিয়ে এই ভুল করছেন? প্রাণ নিয়ে টানাটানি হতে পারে

বাঙালি মানেই রসিয়ে কষিয়ে খাবার। রুই, কাতলা, মটন, চিকেন, পাবদা, ইলিশ কিনা নেই। অর্থাৎ নিঃসন্দেহে বাঙালি ভোজন রসিক।

তবে এর মধ্যে বাঙালিদের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস হচ্ছে চিংড়ি। চিংড়ি  মাছ খেতে ভালোবাসে না এমন খাদ্য রসিক ব্যক্তি কমই রয়েছে। বাজারে আগে বাঙালি কর্তারা গলদা নয় বাগদা আর নয়তো কুচো চিংড়ির খোঁজ করবেন।

তবে চিংড়ি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি আবার আপনার জীবনের জন্য অনেক ক্ষতিকর। চিংড়ির  একটি জিনিস আপনাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে।

চিংড়ি মাছের কালো শিরাই আপনার শরীরে জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। অনেকসময়, চিংড়ি কাটার ঝক্কি না পোহাতে অনেকে বাজার থেকে এই মাছ কেটে নিয়ে আসেন। কিন্তু দেখা যায়, বাজার বিক্রেতারা এই মাছ কাটতে গিয়ে কালো শিরা গুলি ফেলেননি। আর এই কালো শিরা গুলি আপনার অজান্তেই আপনার পেটে যাচ্ছে।

চিকিৎসকদের মতে, চিংড়ি মাছের খোলসের নীচেই থাকে কালো শিরা। এই শিরা গুলিতে বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ জমা হয়ে থাকে। যা ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে আপনার শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে চিংড়ির  কালো শিরা থেকে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয় পেটে। কারণ চিংড়ির কালো শিরায় থাকা বর্জ্য পদার্থ গুলি পেটে গিয়ে বিভিন্ন রকমের ভাইরাস তৈরি করে। এর ফলে পেটব্যথা, বদহজমের মত সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। আবার অনেক সময় ওই বর্জ্য পদার্থ গুলি পেটে জমতে জমতে কিডনি, লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে।

দ্বিতীয়ত যে সমস্যাটি হচ্ছে অ্যালার্জি। যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের পক্ষে চিংড়ি খাওয়া বিপদজনক। যদিও অল্প আধটু খাওয়া যায়, কিন্তু তাতে যদি কালো শিরা থাকে এতে করে শরীরে প্রদাহ হতে শুরু করে। অ্যালার্জির মাত্রা বেড়ে গিয়ে ভয়ংকর কিছু ঘটে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।

আবার অনেক সময় শ্বাসনালীর পেশীর সংকোচন বেড়ে যায়, রক্তনালী ফুলে ওঠার মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়। চিকিৎসকের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় ভ্যাসোডাইলেশন। চিকিৎসকরা বলছেন এই সমস্যার ফলে অনেক সময় হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দেয়, শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে, পাশাপাশি গলা ফুলে যায়, মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বন্ধ পর্যন্ত হয়ে যায়। ঠিক এই কারণে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে যেতে পারে। তাই চিংড়ির কালো শিরা খাওয়ার আগে সাবধান।

এবার প্রশ্ন হচ্ছে চিংড়ি কালো শিরা বের করবেন কীভাবে? প্রথমে বাজার থেকে চিংড়ি মাছগুলি আনলে ঠান্ডা জলে পরিষ্কার করে নিন। পারলে মিনিট পনেরো ঠান্ডা জলের মধ্যে ভিনিগার মিশিয়ে ডুবিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে চিংড়ি থেকে সমস্ত দুর্গন্ধ বেরিয়ে যায় পাশাপাশি কোন রকমের বর্জ্যপদার্থ থাকে না।

ধোয়া হয়ে গেলে এরপর জল, ঝরিয়ে, মাথা পা বাদ দিয়ে দিন। এবং একটি টুথপিক দিয়ে চিংড়ি মাছের কালো শিরা গুলো বের করে ফেলে দিন।

প্রত্যেকটি চিংড়ি এইভাবে পরিষ্কার করে তারপর সামান্য নুন জল দিয়ে ধুয়ে রান্না করতে পারেন কিংবা ফ্রিজে স্টোর করে রেখে দিতে পারেন। এইভাবে চিংড়ি  মাছ পরিষ্কার করলে প্রাণ নাশের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।