6 April, 2024

BY- Aajtak Bangla

গর্ভবতী মহিলাদের ঘুমের সমস্যা স্বাভাবিক, এই টিপস মানলেই সমাধান নিমেষে

মহিলাদের জন্য গর্ভাবস্থায় ঘুমোনো খুব কঠিন। ঘুমের সমস্যার একটি বড় কারণ পেট ফাঁপা। পেট বড় হয়ে গেলে, দুপাশে ঘুরি শুয়ে থাকা অসম্ভব। তা ছাড়া আরও কিছু কারণেও ঘুমের সমস্যা হয়।

ঘন ঘন প্রস্রাব, মেজাজ পরিবর্তন, দিনের বেলা ঘুম, পেশী ক্র্যাম্প এর কিছু কারণ। কিন্তু গর্ভবতী মহিলাদের পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। এটি ক্রমবর্ধমান শিশু এবং মায়ের জন্য ভাল।

আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন গর্ভাবস্থায় ঘুমোতে না পারলে নীচে দেওয়া কিছু টিপস অনুসরণ করুন। আপনি অবশ্যই একটি ভাল এবং শান্তির ঘুম পাবেন।

গর্ভাবস্থায় আপনার ২ বা ৩টি নরম বালিশ কেনা উচিত। আপনার কোমরে ঠেস দেওয়ার জন্য। এভাবে ঘুমোনো অভ্যস্ত হওয়া উচিত।  দিনের বেলা ঘুমোনো এড়িয়ে চলুন।

আপনি গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ বা মেজাজের পরিবর্তন অনুভব করতে পারেন। যোগব্যায়াম এবং হাঁটা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দিতে পারে। এর ফলেও ভালো ঘুম হয়।

ঘুমোনোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেলে ভাল ঘুম হয়। তা ছাড়া, রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খেলে ভাল ঘুম হয়। 

শিশু ও মাকে সুস্থ রাখতে জল ও তরল খাবার অপরিহার্য। কিন্তু এই ধরনের পানীয় দিনের বেলা প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত। আপনি সন্ধ্যার ডোজ কমিয়ে রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব এড়াতে পারেন। এর ফলে ভাল ঘুম হয়।

গর্ভবতী মহিলাদের পেশী ক্র্যাম্প অনুভব করার সম্ভাবনা বেশি। এ কারণে অনেকের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়। দিনের বেলায় গরম জলের প্যাক দিয়ে পায়ের ব্যায়াম করা উচিত। 

রাতে ঘুমোনোর আগে হালকা গরম জল দিয়ে স্নান করলে ভাল ঘুম হবে। গরম জল পেশী শিথিল করে এবং ক্র্যাম্প প্রতিরোধ করে।

শরীর যখন একটানা একটা কাজ করতে শুরু করে, তখন জৈবিক ঘড়ির অভ্যাস হয়ে যায়। প্রতিদিন একই সময়ে বিছানায় শুতে যান।

গর্ভবতী মহিলারা জাঙ্ক ফুড সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চললে এটি শিশুর জন্য ভাল। তা ছাড়া ফল ও সবজি খাওয়া শুধু বাড়ন্ত শিশুর জন্যই নয়, মায়ের জন্যও ভাল।