15 JUNE 2025
BY- Aajtak Bangla
ভারতের কৃষকদের রুজি-রুটির মূল ভিত্তি হল কৃষিকাজ। আর কৃষিকাজের ক্ষেত্রে সবজি চাষ এমন একটি বিকল্প, যা কম খরচে কৃষকদের বেশি লাভ দেয়।
জুন মাস ঢেঁড়শ চাষের জন্য খুবই অনুকূল বলে মনে করা হয়। কারণ এই সময়ে বাজারে ঢেঁড়শের চাহিদাও অনেকটাই বেড়ে যায়।
আসলে জুন মাসে বর্ষার আসে। ফলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যায়। যা ঢেঁড়শ চাষের জন্য খুবই অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করে। কারণ এই সময়ের আবহাওয়া ঢেঁড়শ চাষের জন্য উপযুক্ত।
আর ঢেঁড়শ এমন একটি সবজি, যা দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং অল্প সময়ের মধ্যে বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।
চাষের ক্ষেত্রে এই সবজির সঠিক প্রজাতি নির্বাচন এবং সঠিক কৃষি পদ্ধতি অবলম্বন করলে কৃষকরা ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ করার সুযোগ পান।
জুন মাসে রোপণ করার জন্য তিনটি প্রজাতিকে সবচেয়ে ভাল বলে বিবেচনা করা হয়। সেগুলি হল - পার্বণী ক্রান্তি, পুসা এ-৪ এবং বর্ষা উপহার।
পার্বণী ক্রান্তি প্রজাতর ঢেঁড়শ খুবই জনপ্রিয়। কারণ এর ফলন দ্রুত হয় এবং বীজ রোপণের ৪৫-৫০ দিনের মধ্যে ফল ধরতে শুরু করে। এই প্রজাতির ঢেঁড়শের ফলন হয় সাধারণত প্রতি হেক্টরে ৯০-১১০ কুইন্টাল। আর এই ঢেঁড়শ বাজারে ভাল দামে বিক্রি হয়।
অন্যদিকে, পুসা এ-৪ প্রজাতির ঢেঁড়শের ফলনও ৪৫-৫০ দিনের মধ্যে হয়ে যায়। এই প্রজাতির ঢেঁড়শ নরম এবং সুস্বাদু হওয়ায় তা বেশ জনপ্রিয় এবং এর ফলন প্রতি হেক্টরে ৮০-১০০ কুইন্টাল। এছাড়াও রয়েছে বর্ষা উপহার প্রজাতির ঢেঁড়শ।
ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, জুন মাসটা ঢেঁড়শ চাষের জন্য খুবই লাভজনক বলে প্রমাণিত হতে পারে। ঢেঁড়শের বাজার মূল্য সাধারণত প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা।
যদি প্রতি হেক্টরে ১০০ কুইন্টাল ফলন হয়, তাহলে কৃষকরা এক হেক্টর থেকে ২ লক্ষ টাকারও বেশি আয় করতে পারেন।