1st OCTOBER 2024
BY- Aajtak Bangla
পুজো মানেই বাড়িতে মিষ্টিমুখ হবেই। এই সময় বাড়িতে বন্ধু, আত্মীয়দের আগমন লেগেই থাকে।
পুজোর অন্যতম অনুষঙ্গ হল নারকেল নাড়ু, গজা, খাজা, কুচো নিমকি। আর এই নাড়ু, গজার গন্ধ বলে দেয় যে পুজো একেবারে দোরগোড়ায়।
যাঁরা সারা বছর ডায়েট করেন, যাঁরা ডায়াবেটিসের ভয়ে মিষ্টি খান না তাঁরাও পুজোর এই কটা দিন সব ভুলে মিষ্টিমুখ করেন।
রসগোল্লা, পান্তুয়া, কালাকাঁদ, মিহিদানা, লাড্ডু, বোঁদে, সন্দেশের কোনও তুলনা নেই। এই ক্লাসিক মিষ্টি আপনি বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেই।
কালাকাঁদ খেতে তো সকলেই ভালোবাসেন। কিন্তু বানাতে পারেন কি? আঁতকে ওঠার কিছু নেই। কালাকাঁদ তৈরি করা খুব সহজ।
সময় বা উপকরণ কোনোটাই বেশি লাগে না। তাই আর কথা না বাড়িয়ে বরং শিখে নেওয়া যাক রেসিপি।
উপকরণ- দুধ- ৫০০ মিলিলিটার ছানা- ৪০০ গ্রাম ঘি- ১ চা চামচ কনডেন্সড্ মিল্ক- ২০০ মিলিলিটার এলাচ গুঁড়ো- ১ চা চামচ নুন- ১ চিমটি
হাতের তালু দিয়ে ছানা ভালো করে ডলে ডলে ছেনে নিন। ছানা যত মিহি হবে তত ভালো।
পাত্রে দুধ গরম করতে বসান। গরম দুধে ছানা দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। ড়তে নাড়তে দেখবেন মিশ্রণটি ঘন হয়ে আসছে এবং দুধ এবং ছানা একসঙ্গে মিশে খোয়া ক্ষীরের মতো হয়ে যাচ্ছে।
এবার এতে সামান্য ঘি মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে গেলে তাতে কনডেন্সড্ মিল্ক দিয়ে ভালো করে মেশান।
ক্রমাগত নাড়তে নাড়তে এতে কাজু, পেস্তা, আমন্ডের গুঁড়ো এবং এক চিমটি কেশর দিয়ে দিন। তবে এটা সম্পূর্ণ অপশনাল। এগুলি ছাড়াও কালাকাঁদ খেতে অসাধারণ লাগবে।
মিশ্রণে এলাচ গুঁড়ো এবং সামান্য নুন দিয়ে ফের মেশান। গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিন। এবার একটি কানা উঁচু থালায় ঘি গ্রিজ করে নিন। তার উপরে কালাকাঁদের মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন।
উপরিভাগ যেন একেবারে সমান হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এই অবস্থায় পাখার হাওয়ায় মিশ্রণটি ঠান্ডা করুন। সম্পূর্ণ ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটিকে ফ্রিজে আধ ঘণ্টার মতো রেখে দিন।
ফ্রিজ থেকে বের করে ছুরি বা পিৎজা কাটার দিয়ে কালাকাঁদ সমানভাবে টুকরো করে নিন। চাইলে উপরে রুপোর তবক, কেশর বা পেস্তা বাদামের টুকরো ছড়িয়ে দিতে পারেন।