06 jun, 2024
BY- Aajtak Bangla
লবঙ্গ সাধারণত মসলা হিসেবে পরিচিত। মূলত লবঙ্গ গাছের ফুলের কুড়িকে শুকিয়ে প্রস্তুতকৃত অংশকেই লবঙ্গ বা লং বলা হয়।
ইউজেনল নামে যৌগের কারণে লবঙ্গ সুগন্ধি হয়ে থাকে। এই যৌগের জীবাণুনাশক ও বেদনানাশক গুণ রয়েছে। ফলে রান্না ছাড়াও এই মসলার বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে।
দাঁতের যত্ন, পেট ও মাথাব্যথা, সর্দি-কাশিতে লবঙ্গ বা লংয়ের কার্যকারিতা তুলে ধরা হল।
লবঙ্গে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যালকালয়েড ও স্যাপোনিন যৌন ইচ্ছা বা কামশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
প্রচণ্ড স্ট্রেস ও উৎকণ্ঠা কমাতে এক টুকরো লবঙ্গ মুখে ফেলে চুষে খেয়ে ফেলুন। এমনকি লবঙ্গের চা পানেও মেজাজ ফুরফুরে হয়ে উঠবে।
লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির ক্ষয় নিরাময়ে বেশ কার্যকর। লবঙ্গের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে কিছু বিক্রিয়া করে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমিয়ে দেয়।
যাত্রাপথে বমি বমি ভাব দূর করতে মুখে লবঙ্গ দিয়ে রাখা যেতে পারে। এটি মুখে সুগন্ধি তৈরি করে বমি বন্ধে বেশ কাজ করে। বমির ভাব দূর করতে মুখে লবঙ্গ নিয়ে চুষতে পারেন অন্তঃসত্ত্বা নারীরাও।
সর্দি–কাশি ও ঠান্ডা প্রতিরোধে লবঙ্গকে মহৌষধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এটি চিবিয়ে রস গিলে খেলে বা লবঙ্গ মুখে রেখে চুষলে ঠান্ডা লাগা, অ্যাজমা, সর্দি, কফ, গলা ফুলে ওঠা আর শ্বাসকষ্টে বেশ সুফল পাওয়া যায়।
সাইনোসাইটিসের রোগীদের চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবে লবঙ্গ ব্যবহার করেন অনেকে। সাইনাসের কষ্ট কমাতে লবঙ্গের বিশেষ উপাদান ইগুয়েনাল সাহায্য করে।
মাথাব্যথা ও মাথার যন্ত্রণা কমাতে লবঙ্গের জুড়ি নেই।
পেট ফাঁপা ও পেটের অসুখ নিরাময়ে লবঙ্গ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ উপাদান এনজাইম বৃদ্ধি করে পেটব্যথা, অজীর্ণ, বদহজম, খিদে না হওয়া, পেটের গ্যাস ও বায়ু এমনকি কলেরা বা আন্ত্রিক রোগ নিরাময় করে।
লবঙ্গ কামোদ্দীপক। এর সুবাস অবসাদ দূর করে, শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করে।