9 October, 2024
BY- Aajtak Bangla
আমাদের অনেকের বাড়িতেই ছোট্ট ছোট্ট বিড়াল ছানা খেলে বেড়ায় আমাদের ঘরে-বাইরে। ছোটরা তো বটেই, আমরা বড়রাও সুযোগ পেলে আদর করে দিই এই তুলতুলে ছানাদের।
কিন্তু এই আদরের ছলে হঠাৎ করেই বিড়ালের ধারালো নখ লেগে কেটে যেতে পারে হাত, ছড়ে যেতে পারে চামড়া। আর আপনি ওদের আরেকটু খেপিয়ে দিলে কামড়ে রক্তারক্তি কান্ডও হয়ে যেতে পারে।
বিড়াল কামড়ালে বা আঁচড়ালে অনেকেই ভীত থাকেন, ভাবেন জলাতঙ্ক হতে পারে- তাই ইনজেকশন নিতে ছুটে যান ডাক্তারের কাছে।
আবার অনেকে ভয়াবহ কামড়কেও পাত্তা না দিয়ে ঘরে বসে থাকা পক্ষপাতি। আসলে কী করা উচিৎ তা জেনে নেওয়া যাক।
বিড়াল যদি আঁচড় দেয় কিন্তু রক্ত না বের হয় তবে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। আঁচড় দিলে জীবাণুনাশক দিয়ে ক্ষতস্থানটি ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। তবে ক্ষত গভীর হলে বা অতিরিক্ত রক্তপাতে অবহেলা করবেন না।
জলাতঙ্ক বা র্যাবিস ভাইরাস জীবাণু রোধে সবচেয়ে কার্যকর হলো সাবান জল। অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক সল্যুশন এই জীবাণু ধ্বংস করতে পারে না। তাই ক্ষত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাবান জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে জীবাণু সংক্রমিত হবে না। চিকিৎসকের কাছে না গেলেও চলবে।
বিড়াল কামড়ালে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে তরল অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্যাভলন ও ডেটল বেশি কার্যকর। এরপর রক্তপাত বন্ধ করতে ব্যান্ড এইড বা গজ ব্যবহার করতে পারেন।
বিড়াল কামড়ে রক্তপাত হলে তা বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যান্ড এইড লাগিয়ে নিন। কারণ বাতাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ক্ষতস্থানে ধনুষ্টঙ্কারের জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। কোনরকম মলম বা ক্রিম ব্যবহার না করাই ভালো।
ক্ষত গভীর না হলেও অনেক সময় জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। ফলে হালকা ক্ষত দেখে অবহেলা করবেন না। দেখুন ক্ষতস্থান ফুলে গেছে কি না। এ ছাড়া লাল হয়ে গেলে, রক্তপাত বন্ধ না হলে বা তীব্র ব্যথা করলে বুঝবেন জীবাণু সংক্রমিত হচ্ছে। তখন দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
বিড়াল কামড়ানোর পর জ্বর এলে বুঝতে হবে এটা বিপদের চিহ্ন। অনেক সময় আঁচড় দিলে বয়স্কদের জ্বর আসে না তবে ছোটদের জ্বর আসতে পারে। এটাকে বলে ক্যাট স্ক্র্যাচ ডিজিজ। জ্বর আসা, ফোসকা পড়া, পিঠ বা পেটব্যথার মতো লক্ষণ দেখলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
যে বিড়ালটি আপনাকে কামড়েছে সেটি র্যাবিশে আক্রান্ত কি না, বোঝার জন্য কতগুলো লক্ষণ আছে। বিড়ালের আচরণে পরিবর্তন আসবে, আগ্রাসী হয়ে উঠবে। ঘন ঘন শ্বাস নেবে, মুখ দিয়ে লালা ঝরা বা গলার স্বরে পরিবর্তন আসবে।
এসব দেখলে বুঝবেন বিড়াল র্যাবিশে আক্রান্ত। র্যাবিশে আক্রান্ত বিড়াল সাধারণত বেশি দিন বাঁচে না। যদি ৮-১০ দিন সুস্থ থাকে, তাহলে বুঝতে হবে বিড়াল র্যাবিশে আক্রান্ত ছিল না।