BY- Aajtak Bangla
25 December 2023
r
চিনাবাদাম খেতে কার না ভালো লাগে। সারা দিনে কাজের ফাঁকে, অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে, সিনেমা দেখতে দেখতে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে - টুকটাক মুখ চালানোর জন্য চিনাবাদমের বিকল্প নেই! দীর্ঘক্ষণ পেটও ভরা রাখে এই বাদাম।
তবে চিনাবাদাম যে শুধু মুখ চালানোর জন্য ভালো তা নয়, এটি শরীরেরও যত্ন নেয়। এতে রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা।
প্রোটিন, ফ্যাটের মতো উপকারী পুষ্টিগুণে ভরপুর চিনাবাদাম। শীতকালে এমনিতেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। এই সময় নিয়মিত চিনাবাদাম খেলে শরীরের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
চিনাবাদামে রয়েছে উচ্চ মাত্রার মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা হার্টের জন্য খুবই ভালো। চিনাবাদাম খেলে এনার্জিও বাড়ে। তাছাড়া, শীতকালে এর রোজ সেবন শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখে এবং ঠান্ডা থেকেও রক্ষা করে।
শীতকালে আমরা খুবই অলস এবং ক্লান্তি অনুভব করি। তাই শরীরের এনার্জি বৃদ্ধির জন্য উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন এই সময়। চিনাবাদাম প্রোটিনে ভরপুর খাদ্য। শীতকালে চিনেবাদাম খেলে এনার্জি বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করে।
ঠান্ডা আবহাওয়ায় সর্দি, কাশি, ফ্লু এবং অ্যালার্জির সমস্যা লেগেই থাকে। খনিজ এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ চিনাবাদাম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির হাত থেকে শরীর সুরক্ষিত থাকে।
চিনাবাদাম কেবল শরীরেরই খেয়াল রাখে না, ত্বকেরও যত্ন নেয়। চিনাবাদামে থাকা বায়োটিন উপাদান শীতকালে ত্বকের শুষ্কভাব প্রতিরোধ করে। ত্বক ভিতর থেকে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখে। ৬
চিনাবাদামে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস এবং জিঙ্ক থাকে প্রচুর মাত্রায়। এই সব খনিজ শীতকালে হাড় মজবুত এবং সুস্থ রাখে।
কমবেশি সকলেরই শীতকালীন অবসাদ হয়। এর কারণ সূর্যালোকের অভাব এবং ঠান্ডা আবহাওয়া। শীতকালে রোদ বেশিক্ষণ থাকে না, অধিকাংশ সময় মেঘলা থাকে চারপাশে। চিকিৎসার ভাষায় এই শীতকালীন অবসাদকে সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (SAD) বলা হয়।
চিনাবাদামে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান। এটি এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড, যা সেরোটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে। এই হরমোন স্নায়ুকে শান্ত করে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। সেরোটোনিন শীতের সময় মেজাজ ঠিক রাখে।
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে চিনাবাদাম অত্যন্ত উপকারী। রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে চিনাবাদাম কাজে আসতে পারে। চিনাবাদামে গ্লাইসেমিক সূচক কম। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
মনে রাখবেন, চিনাবাদাম পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। অতিরিক্ত চিনাবাদাম খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।