BY- Aajtak Bangla
12 OCTOBER, 2023
এই বিশেষ ধরনের পিঁপড়ের চাটনিটি আলু দিয়ে পরিবেশন করা হয়ে থাকে। এই চাটনি টি দেখতে একেবারে গাজরের রঙের মত হয়।
এই চাটনি কিন্তু বানানো হয় একেবারে লাল পিঁপড়ে দিয়ে।
লাল পিঁপড়ের বাসা খুঁজে সেই বাসা থেকে বড় পিঁপড়ে, বাচ্চা পিঁপড়ে, ডিম, ছানা সমস্ত ধরনের পিঁপড়ে গুলো একসাথে জড়ো করে ধরে আনতে হবে।
এরপর সেই পিঁপড়ে গুলোর মধ্যে নুন দিয়ে দিতে হবে যাতে পিঁপড়ে গুলো মরে যায়।
এরপর তার মধ্যে একে একে আদা বাটা, কারি পাতা, রসুন বাটা, হলুদ, জিরে, সরষে সমস্ত কিছু দিয়ে একসঙ্গে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
এরপর মিক্সিতে একসঙ্গে পেস্ট করলেই তৈরি হয়ে যাবে পিঁপড়ের সাভালি চাটনি।
এই চাটনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন বি-১২, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ফাইবার এবং ১৮ রকমের অ্যামিনো অ্যাসিড।
ওড়িশা ছাড়াও ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ডের বেশ কিছু অঞ্চলেও এই চাটনি খাওয়ার চল রয়েছে। ইতিমধ্যেই জিআই ট্যাগ পাওয়ার জন্য ময়ূরভঞ্জবাসীরা আয়ুশ মন্ত্রকের কাছে চিঠি জমা করেছেন।
এই আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভের পর এই চাটনি সারা বিশ্ব জুড়ে পরিচিতি পাবে। সেই সঙ্গে ময়ূরভঞ্জবাসীর ব্যবসায়িক উন্নতিও সম্ভব হবে।