BY- Aajtak Bangla

লাল, কালো, বাদামি না সাদা—সুগারের রোগীদের জন্য কোন ভাত ভালো?

05 Feb, 2025

কালো চাল, যা কখনো কখনো “নিষিদ্ধ চাল” বা “বেগুনি চাল” হিসেবে পরিচিত, বহু শতাব্দী ধরে চfন, কোরিয়া ও জাপানে খাওয়া হয়ে আসছে। 

বাদামি চাল হলো গোটা শস্য, যেখানে ‘হুল’ (বাইরের খোসা) ঝরে যাওয়ার পরে তুষ ও জার্ম বা অঙ্কুর স্তর থাকে। 

আঁশ থাকে। এতে ফ্রি র‍্যাডিক্যাল প্রতিরোধের ক্ষমতা অধিক, এবং এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভান্ডার হিসেবে কাজ করে

সাদা চাল তৈরিতে চালের হাস্ক, ব্র্যান ও জার্ম সরিয়ে ফেলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় চালের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত হলেও এতে থাকা আঁশ, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান অনেকাংশে কমে যায়। 

সাদা চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বাদামি চালের তুলনায় বেশি হওয়ায়, রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে রান্নার পর ঠান্ডা করলে এতে ‘রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ’ তৈরি হয়, যা রক্তে শর্করার প্রভাব কমায়।

কালো ও লাল চাল উভয়েই অ্যানথোসায়ানিন ও অন্যান্য ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

বাদামি চালের ফাইবার ও প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে এবং রক্তে শর্করা ও ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। 

পরিশোধিত চালের পরিবর্তে গোটা শস্য (হোল গ্রেইন) খেলে হৃদরোগ, স্থূলতা এবং কিছু ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। গোটা শস্যে ব্র্যান ও অঙ্কুর থাকায় এতে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে।

সাদা চালের তুলনায় কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য চালের মধ্যে আর্সেনিকের মাত্রা বেশি হতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে সাদা চালের আর্সেনিকের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম।