BY- Aajtak Bangla

আত্মীয়দের এই ৫ পরামর্শ শুনবেন না, সুখের সংসারে আগুন লাগবে

March 15, 2024

আত্মীয়দের কিছু পরামর্শ আপনার সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে এবং আপনার স্বামীর সঙ্গে বন্ধন ভালোর পরিবর্তে খারাপ হতে পারে। 

আত্মীয়-স্বজনের এমন অনেক উপদেশ রয়েছে, যা সম্পর্ক গড়ার বদলে তা ভাঙার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসে।

আপনি আত্মীয়দের দেওয়া উপদেশ মেনে বসে থাকতে পারবেন না যে সময়ের সঙ্গে সবকিছু ভাল হয়ে যাবে, কারণ কখনও কখনও সময় ফুরিয়ে যায় এবং সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। অতএব, যখন আপনার সম্পর্কের মধ্যে সামান্য তিক্ততা থাকে, তখন আপনার মধ্যে জিনিসগুলি ঠিক করার চেষ্টা করা উচিত।

পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি হলে আত্মীয়স্বজনের বিশেষ পরামর্শ হল শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে। তার মতে, শ্বশুরবাড়ি থেকে আলাদা থাকার মাধ্যমে সবকিছু ভাল হয়ে যায়। কিন্তু আপনি যদি আপনার সম্পর্ককে অটুট রাখতে চান তাহলে আত্মীয়দের এই পরামর্শ মানবেন না।

আত্মীয়রা যখন আপনার সম্পর্কের অবনতির কথা শুনে, সাধারণত তাদের প্রথম পরামর্শ হল এখনই গর্ভধারণের পরিকল্পনা করুন, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। গর্ভাবস্থার পরিকল্পনা করার আগে আপনার সম্পর্ক ঠিক করা ভাল। একটি সন্তানের জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্তটি আপনার উভয়েরই হওয়া উচিত, আপনার আত্মীয়দের নয়।

বাড়ির বেশিরভাগ কাজই করেন মহিলা। কিন্তু আপনি যদি কখনও আপনার স্বামীকে আপনার আত্মীয়স্বজনদের সামনে এমনকি ছোটখাটো কাজেও সাহায্য করতে বলেন, তবে তিনি প্রায়শই আপনাকে কটূক্তি করবেন যে গৃহস্থালির কাজ পুরুষদের জন্য নয় এবং একই কথা অন্য লোকেদেরও বলবে। এভাবে ঘরের বাইরে কথা চলে যাবে যে আপনার বাড়িতে পুরুষ কাজ করে। এই কটূক্তি স্বামীর আচরণও পরিবর্তন করে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা উচিত।

আপনার আত্মীয়স্বজনরা আপনার পারস্পরিক মতপার্থক্য সম্পর্কে জানার সঙ্গে সঙ্গে অনেক উপদেষ্টা আপনাকে উপদেশ দিতে আসবেন যে আপনার যদি আত্মসম্মান থাকে তবে হাল ছাড়বেন না। এই ধরনের উপদেশে কোনও কর্ণপাত করবেন না, কারণ এই ধরনের পরামর্শ আপনার ভালো সম্পর্কও নষ্ট করতে পারে।

আপনি যদি মনে করেন শ্বশুরবাড়িতে যথেষ্ট আদর পাচ্ছেন না, তাহলে আগে কারণটা জেনে নিন। আপনি কি আপনার শ্বশুর-শাশুড়িকে বাবা-মায়ের মতো, ভগ্নিপতিকে বোনের মতো, শ্যালককে ভাইয়ের মতো আচরণ করছেন এবং তাদের সম্মান দিচ্ছেন?

আপনি সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন না। শুধু একটা কথা মাথায় রাখবেন কাউকে অপমান করবেন না। যদি আপনার সঙ্গে কোন অপ্রীতিকর আচরণ ঘটে তবে তা গোপনে আলোচনা করুন। বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই আলোচনা করুন এবং যদি কিছু কাজ না হয় তবে একজন মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নিন।