16 FEBRUARY, 2025
BY- Aajtak Bangla
বর্তমান সময়ে, যখন সমাজ দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, মেয়েদের চিন্তাভাবনা এবং অগ্রাধিকারও পরিবর্তন হচ্ছে। একটি প্রবণতা দেখা দিয়েছে যেখানে মেয়েরা বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
এর কারণ শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং কর্মজীবনের প্রতি তার মনোনিবেশ নয়, তিনি তার নিজের শর্তে জীবনযাপন করতে চান।
শিক্ষা ও পেশার প্রতি মেয়েদের আগ্রহ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তিনি তার পেশাদার লক্ষ্যগুলিকে অগ্রাধিকার দেন এবং এই লক্ষ্যগুলির পথে বিবাহকে আসতে দিতে চান না।
আজকের মেয়েরা আর্থিকভাবে স্বাধীন হয়ে উঠছে। ঐতিহ্যগতভাবে বিয়ের সঙ্গে যে ধরনের আর্থিক নিরাপত্তার সম্পর্ক ছিল তাদের আর প্রয়োজন নেই।
বিয়ের পর সমাজ ও পরিবারের প্রত্যাশা, যেমন সন্তান ধারণ করা এবং ঘরোয়া দায়িত্ব পালন করা, কখনও কখনও মহিলাদের উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। যাকে সে এড়াতে চায় এবং বিয়ে করে না।
মেয়েরা এখন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়। তিনি এমন সম্পর্কের মধ্যে থাকতে চান না যা তার স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করে।
যদিও বিয়ে না করার অনেক সুবিধা রয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদে কিছু অসুবিধাও হতে পারে যা চিন্তা করার মতো।
বিবাহ বা একটি স্থায়ী সম্পর্ক মানসিক স্থিতিশীলতা প্রদান করতে পারে। জীবনের উত্থান-পতনে আপনার সঙ্গে সঙ্গী না থাকা একাকীত্ব বাড়াতে পারে।
বৃদ্ধ বয়সে বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সমর্থন থাকা জরুরি। যে মহিলারা বিয়ে করেন না তারা এই সময়ের মধ্যে একাকীত্বের সম্মুখীন হতে পারেন।
বিবাহ একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান যা স্থিতিশীলতা প্রদান করে এবং সমাজে সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। এর থেকে দূরে থাকা অনেক সময় সামাজিক বিচ্ছিন্নতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
যদিও মহিলারা আর্থিকভাবে স্বাধীন, একটি পরিবার থাকা আর্থিক নিরাপত্তার একটি অতিরিক্ত উৎস হয়ে উঠতে পারে।
বিয়ে করা বা না করা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পছন্দ। এটি প্রতিটি মহিলার অগ্রাধিকার এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। যাইহোক, সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
সমাজকে পরিবর্তনের এই নতুন তরঙ্গকে বুঝতে এবং গ্রহণ করতে হবে, তবে নারীদেরও নিশ্চিত করা উচিত যে তাদের সিদ্ধান্তগুলি কেবল বর্তমান নয়, ভবিষ্যতেও তাদের মঙ্গলের জন্য।