19 OCTOBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
বিয়ের সময় মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন থেকে যায়, ছেলে ও মেয়ের বয়সের পার্থক্য কী হওয়া উচিত। আপনি যদি আপনার চারপাশে তাকান, এই প্রশ্ন আরো কঠিন হয়ে ওঠে।
সচিন তেন্ডুলকারের স্ত্রী অঞ্জলি তেন্ডুলকার তাঁর থেকে প্রায় ৪ বছরের বড়। শহিদ কাপুরের স্ত্রী মীরা কাপুর তাঁর থেকে প্রায় ১৫ বছরের ছোট। রণবীর কাপুরের স্ত্রী তার থেকে ১০ বছরের ছোট।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন জাগে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আদর্শ বয়সের ব্যবধান কত হওয়া উচিত?
ভারতীয় সমাজে একটি বিষয় পরিষ্কার যে স্বামীর বয়স স্ত্রীর চেয়ে বেশি হওয়া উচিত। তবে এখনকার তরুণ প্রজন্ম প্রেমের বিয়ের কারণে এসব বন্ধন ও ঐতিহ্য পাল্টে দিয়েছে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান সম্পর্কে বিজ্ঞান ও ভারতীয় আইনে কী বলা হয়েছে।
বিজ্ঞানের কথা বলতে গেলে আমরা শারীরিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটেই বুঝি। বিভিন্ন বয়সে নারী ও পুরুষের শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তন মেয়েদের ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে ঘটতে শুরু করে। অন্যদিকে , এই পরিবর্তনটি ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সে ছেলেদের মধ্যে ঘটে
এই অবস্থায় উভয়ের বয়সে ২-৩ বছরের পার্থক্য থাকতে হবে। তবে এর মানে এই নয় যে এই বয়সে বিয়ে করা উচিত।
আইনের ক্ষেত্রে ভারতে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং ছেলেদের সর্বনিম্ন বয়স ২১ বছর। এই বয়সের পর ছেলে-মেয়েরা তাদের ইচ্ছানুযায়ী বিয়ে করতে পারে।
এ অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বৈধ বয়সের ব্যবধান বিয়ের জন্য ৩ বছর গ্রহণযোগ্য। তবে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে ৩ থেকে ৫ বছরের পার্থক্য সমাজে স্বাভাবিক।