26 JUNE, 2023

BY- Aajtak Bangla

বর্ষাকালে বাড়ে দাদ-হাজা-চুলকানি, এই ঘরোয়া উপায়ে মিলবে আরাম

বর্ষাকাল পড়লেই ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। দাদ খুবই সাধারণ একটি ফাংগাল ইনফেকশন বা সংক্রমণ। হাত, পা, পিঠ, হাত-পায়ের আঙুল ও মাথার তালুতেও দাদ হতে দেখা যায়।

দাদ হলে ত্বকের উপর গোলাকার দাগ সৃষ্টি হয়, চুলকানি হয় এবং আঁশের মতো উঠতে থাকে। ঘরোয়া কিছু উপাদান ব্যবহার করে সহজেই দাদ নিরাময় করা যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক।

মধু ছত্রাকের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করতে সহায়তা করে। পরিষ্কার তুলায় মধু লাগিয়ে আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রাখুন যাতে সম্পূর্ণ দাদের স্থানটি ঢাকা পরে। দাদ দূর হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এটি করুন।

ছত্রাকের সংক্রমণ ঠেকাতে অ্যালোভেরা খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল বের করে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগান। দাদ দূর হওয়া পর্যন্ত দিনে কয়েকবার অ্যালোভেরা জেল লাগান। উপকার পাবেন।

২ কোয়া রসুন ভাল করে থেঁতলে নিন। এর সঙ্গে ৩ টেবিলচামচ মধু ও ৩ টেবিলচামচ অলিভ অয়েল মিশান। এই মিশ্রণটি ত্বকের দাদে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিন। তার পর উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অন্তত ২ সপ্তাহ দিনে ২-৩ বার মিশ্রণটি ব্যবহার করুন।

তুলসি পাতায় অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান থাকে, যা দাদের সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়া প্রতিহত করে। তুলসি পাতার রস করে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে।

কাঁচা হলুদ বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগালে দাদের সমস্যা দ্রুত সেরে ওঠে। হলুদের শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান রিংওয়ার্ম বা দাদের সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

জায়ফল গুঁড়ো করে জলের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট দাদের জায়গায় লাগান। এতে দ্রুত সেরে যাবে।

নারকেল তেলে মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল, উভয় বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান। একটি পাত্রে নারকেল তেল নিয়ে হালকা গরম করে নিন। তারপর ওই হালকা গরম তেল সরাসরি আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন। অন্তত দিনে তিনবার এই প্রক্রিয়াটি করুন। দাদা থেকে মুক্তি মিলবে।