25 April, 2024

BY- Aajtak Bangla

কালীঘাটের কালী এই মিষ্টি খেয়েই শয়নে যান, চাইলেই খেতে পারেন

কলকাতার কালীঘাট মন্দিরের কাছেই দেবনারায়ণ লেনে রয়েছে এই দোকান। নেই কোনও সাইনবোর্ড। শুধু এলাকায় গিয়ে বলতে হবে হারান মাঝির দোকান।

প্রায় দেড়শো বছর আগে প্রতিষ্ঠা এই দোকানের। তাঁরই বংশধররা আজও চালাচ্ছেন দোকান, কিন্তু হারান মাঝির নাম বললেই যে কেউ দেখিয়ে দেবে।

এই দোকানেই পাওয়া যায় বিখ্যাত এবং অভিনব চ্যাপ্টা রসগোল্লা। গোল না হলেও রসগোল্লার মতোই স্বাদ হওয়ায় এর নাম রসগোল্লা বলেই পরিচিতি পেয়েছে।

এই মিষ্টির জন্মদাতা অবশ্য আসল নাম রেখেছিলেন ক্ষীরমোহন, তবে রসগোল্লা যেভাবে তৈরি করা হয় ঠিক সেভাবেই এই মিষ্টি তৈরি হয়। 

হাওড়ার দেউলটির বাসিন্দা হারান চন্দ্র মাঝি এই দোকান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কালীঘাট মন্দিরের পেছনে। সেই থেকেই এই দোকান চলে আসছে চার পুরুষ ধরে।

বর্তমানে দোকান চালান বুবাই মাঝি ও রাজু মাঝি। এই ক্ষীরমোহন বা চ্যাপ্টা রসগোল্লা রোজ ২০০ পিস করে বিক্রি হয়। অনেক দূর থেকে লোকজন এই মিষ্টি কিনতে আসেন।

হারান মাঝির দোকানের বা এই চ্যাপ্টা রসগোল্লার আরেকটি বিশেষত্ব আছে। এই দোকান থেকেই কালীঘাটের মায়ের ভোগের জন্য় মিষ্টি যায়। 

হারান মাঝির দোকানের মিষ্টি খেয়েই মা কালী শয়নে যান। অর্থাৎ সন্ধ্যার ভোগ নিবেদন হয় এই রসগোল্লা দিয়েই। 

চার পুরুষ ধরে ব্যবসা চললেও এই দোকানের অন্দরসজ্জা পুরনো আমলের। ঝকঝকে তকতকে ব্যাপার নেই। 

বহু মানুষ তাই এই দোকানের খোঁজ জানেন না। সঙ্গে জানেন না এই দোকানের মাহাত্ম্যের কথাও। তবে যাঁরা জানেন, তাঁরা ছুটে ছুটে আসেন।