BY- Aajtak Bangla

হাত কচলানো মানেই 'চামচা' নয়, রয়েছে ৭ উপকারিতা

12 August, 2024

বাংলা অভিধানে ‘হাত কচলানো’ অর্থ ‘দুই করতল ক্রমাগত ঘষে মিনতি করা বা প্রার্থনা করা’। হাত কচলানোকে চাটুকারিতার লক্ষণ হিসেবেও ধরা হয় সমাজে। কাজেই শিরোনাম দেখে যে অনেকের ভ্রু কুঁচকে গেছে, সন্দেহ নেই। তবে এটা তো আমরা জানি, হাত কচলানোর ইতিবাচক দিকও আছে।

হাত কচলালে হাতে রক্তপ্রবাহ ও শক্তি সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা পর্যায়ক্রমে আপনার মনকে প্রফুল্ল করে। মানসিকভাবে ক্লান্ত বোধ করলে, কোনো কাজে মন বসাতে না পারলে কিছুক্ষণ দুই হাতের তালু ঘষে নিন, এতে মনোযোগ ফিরে আসবে, চিন্তাশক্তির উন্নতি ঘটবে।

হাতে হাত ঘষার ফলে যে তাপ উৎপন্ন হয়, তা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রে প্রশান্তি এনে দেয়। এতে মন শান্ত থাকে, শরীরে ক্লান্তির ছাপ কম পড়ে। হাতে হাত ঘষার কারণে যে ছন্দময় গতির সৃষ্টি হয়, তাতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে পারলে কিছুক্ষণের জন্য দুশ্চিন্তা ভুলে থাকা সম্ভব।

যোগশাস্ত্র অনুযায়ী, মানুষের দেহ সাতটি ভিন্ন ভিন্ন চক্রে বিভক্ত। এর মধ্যে একটি হলো ‘হৃদয় চক্র’। হাতে হাত ঘষার কারণে যে তাপ ও শক্তি উৎপন্ন হয়, তা হৃদয় চক্রকে প্রভাবিত করে।

চীনে বহুকাল ধরে চর্চিত প্রাকৃতিক চিকিৎসাব্যবস্থায় ‘চিউ’ বলে একটি বিষয়ের কথা বলা হয়। চিউ অর্থ মানসিক ও শারীরিক শক্তি, যা মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। হাতের তালু ঘষার মাধ্যমে শরীরে এই চিউয়ের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়, যা শরীরে সঞ্চিত শক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করে।

হৃদয় চক্রকে উদ্দীপিত করার মাধ্যমে আপনার ‘ইমোশোনাল ব্লকেজ’ বা মানসিক প্রতিবন্ধকতা দূর হয়। ইমোশোনাল ব্লকেজ হলো রাগ, দুঃখ, ভয়ের মতো কিছু অনুভূতি, যা আমরা সহজে বুঝতে বা প্রকাশ করতে পারি না।

হাত কচলানোর মতো অতি সাধারণ কাজটি নিয়মিত করলে আপনার মানসিক প্রতিবন্ধকতা দূর হবে, আগের চেয়ে বেশি মানসিক শান্তি পাবেন।