BY- Aajtak Bangla
মাঠে ঘাটে রাস্তার ধারে আগাছার মতো পড়ে থাকে বটে। কিন্তু এই গাছগুলিই আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ বলা যায়। যেমন ধরা যাক, শুষনি শাকের কথা।
শুষনি শাক হাজার একটা গুণে সমৃদ্ধ। এর প্রতিটি পাতায় পুষ্টির ভাণ্ডার লুকিয়ে আছে। গবেষণা অনুসারে, শুষনি শাক হাড়কে ইস্পাতের মতো তৈরি করতে পারে এবং স্নায়ুতে প্রাণ সঞ্চার করতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এর উপকারিতা সম্পর্কে।
শুষনি শাকে অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। ফেনোলিক যৌগ, ট্যানিন, স্যাপোনিন, ফ্ল্যাভোনয়েড, স্টেরয়েড, টারপেনয়েড, অ্যালকালয়েডের মতো যৌগও পাওয়া গেছে।
এই সমস্ত যৌগগুলি রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে খুবই উপকারী প্রমাণিত হয়।
শুষনি শাক ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ুগুলিকে দ্রুত নিরাময় করে। আসলে, যখন স্নায়ুতে এক্সাইটোটক্সিসিটি বৃদ্ধি পায়, অর্থাৎ যখন ক্ষতিকারক রাসায়নিক স্নায়ুতে প্রবেশ করে, তখন স্নায়ুগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে।
এর ফলে স্নায়ুর নড়াচড়া প্রভাবিত হয়। শুষনি শাকে উপস্থিত যৌগ এই বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।
শুষনি শাকে থাকা যৌগ স্নায়ু থেকে এক্সাইটোটক্সিসিটি দূর করতে সাহায্য করে, যার ফলে স্নায়ু আগের মতো প্রাণ ফিরে পায় এবং মস্তিষ্কে বার্তা আদান-প্রদানও আগের মতো হতে শুরু করে।
শুষনি শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। এ ছাড়া, এতে ভিটামিন কে রয়েছে, যা হাড়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুষনি শাক খেলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমানো যায়, যা বৃদ্ধ বয়সে ঘটে।
শুষনি শাকে মস্তিষ্কে এডিমা প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও রয়েছে। প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে, এটি মস্তিষ্কের কোষগুলিতে প্রদাহ হতে দেয় না, যার কারণে মস্তিষ্কের কোষগুলি অকাল বৃদ্ধ হয় না।