BY- Aajtak Bangla
19 SEPTEMBER, 2024
সামনেই পুজো। হাতে নেই আর এক মাস সময়ও। তার আগেই ঝরিয়ে ফেলতে হবে ৫-৭ কেজি ওজন।
সকালে উঠে খালি পেটে লেবুর জল, অথবা জিরের জল। সারাদিনের সঙ্গী চিয়া সিড ভেজানো ডিটক্স ওয়াটার। বন্ধ করে দিয়েছেন ভাত-রুটি। ওটস, ফল এই সবই এখন রোজের ডায়েট।
তাড়াতাড়ি রোগা হতে কড়া ডায়েট তো না হয় করছেন। কিন্তু তাতে কোনও ক্ষতি নেই তো। ওজন কমাতে ক্র্যাশ ডায়েট কিন্তু বড় সমস্যায় ফেলতে পারে আপনাকে।
ঘন ঘন মাথা ঘুরে যাওয়া, চোখের তলায় কালি, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া এই রকম নানা সমস্যা হতে পারে। জানেন কী কী কুপ্রভাব পড়তে পারে আপনার শরীরে?
ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে শরীরে জলের ঘাটতি হতে পারে। এই সময়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম ফ্যাট খাওয়া হয়, তখন দেহকোষ পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট পায় না।
সেই শূন্যস্থান পূরণ করতেই সে শরীরের অতিরিক্ত জল শুষে নেয়। ফলে গ্লাইকোজেন ভেঙে গিয়ে জলশূন্যতা তৈরি হতে পারে।
ডিহাইড্রেশন হলে তার প্রভাব আমাদের ত্বকে এবং চুলেও পড়ে। ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে বিপাকক্রিয়ার হার কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
শরীরে হঠাৎ করে ক্যালোরি কমে গেলে পেশির উপর তার প্রভাব পড়ে। পেশির শক্তি কমে আসে। ফলে ক্লান্ত লাগে। সারা ক্ষণ ঝিমুনি ভাব দেখা দেয়। কাজে অনীহা দেখা দিতে পারে।
ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে শরীরে স্ট্রেস হরমোন অর্থাৎ কর্টিসেল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে অবসাদ, ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন ইত্যাদি হতে পারে।
পুজোয় সকলেই জেল্লাদার ত্বক চান। ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে দেহে সঠিক মাত্রায় ভিটামিন আর মিনারেলের ঘাটতি হয়। ফলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যায়। চুল পড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত ঋতুচক্রের সমস্যাও দেখা যায়।
তবে মনে রাখবেন সঠিক নিয়ম মেনে ডায়েট করলে ১ মাসে ৩ থেকে ৪ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। তবে সেই ডায়েট শুরু করতে হবে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে। ক্র্যাশ ডায়েটকে অনেক পুষ্টিবিদও সমর্থন করেন না।