26 NOVEMBER 2024
BY- Aajtak Bangla
আমন্ড বা কাঠবাদাম এমন একটি ড্রাই ফ্রুট যা শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বের মানুষ খুব পছন্দের সঙ্গে খায়। আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠরাও এটি খাওয়ার পরামর্শ দেন কারণ এতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
বলা হয়ে থাকে যে আমন্ড খেলে মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ হয় এবং স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পায়। এসব উপকারিতা জেনেও অনেকেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি এই ড্রাই ফ্রুট খাওয়া শুরু করেন।
এতে করে শরীরের উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হতে থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক আমন্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।
অনেক বেশি আমন্ড খাওয়া কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে মনে করা হয় না। এই শুকনো ফলের মধ্যে অক্সালেট পাওয়া যায়, ফলে কিডনিতে পাথর হতে পারে।
আমন্ড ভিটামিন ই-এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। আপনি যদি এই ড্রাই ফ্রুট খুব বেশি খান তবে এটি ভিটামিনের মাত্রাতিরিক্ত মাত্রার দিকে পরিচালিত করবে, যা রক্তক্ষরণের মতো গুরুতর রোগের অন্যতম কারণ।
অতিরিক্ত আমন্ড খেলে শরীরে টক্সিন বাড়তে পারে, যা পেটের জন্য ভালো নয়। এই কারণেই গর্ভবতী মহিলাদের এটি না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আমন্ডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা পাকস্থলীর জন্য ভালো বলে মনে করা হয়, তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের সমস্যা হতে পারে।
আপনি যদি ওজন বাড়া নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তাহলে কখনোই বেশি আমন্ড খাবেন না কারণ এতে আপনার ওজন বাড়বে এবং পেটের চারপাশে চর্বি জমতে শুরু করবে।
যদি কোনও ব্যক্তি প্রচুর পরিমাণে আমন্ড খান তবে এতে উপস্থিত ফাইবার ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়াম শোষণে বাধা দেয়।
সীমার চেয়ে বেশি আমন্ড খেলে শরীরে HCN এর মাত্রা বেড়ে যায়, যা শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে। এএছাড়াও, স্নায়বিক ভাঙ্গন এবং শ্বাসরোধের ঝুঁকিও থাকতে পারে।
প্রতিদিন এক বাটি জলে আমন্ড বাদাম ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। সকালে খোসার ছাড়িয়ে খালি পেটে খেয়ে নিলেই পাবেন এর পুষ্টিগুণ।
যে ব্যক্তি বাদাম খাবেন, তিনি কটি করে বাদাম খাবেন, সেটি পুরোপুরি নির্ভর করে তাঁর শরীরের ওপর। তবে যাদের হজম ক্ষমতার সমস্যা রয়েছে তাদের কম সংখ্যক বাদাম খাওয়া উচিত। যাদের অভ্যাস নেই বা যারা একেবারে নতুন করে এই অভ্যেস তৈরি করছেন, তাদের প্রথমে একটি বা দুটি বাদাম খাওয়াই উচিত।