BY- Aajtak Bangla
17 March, 2024
প্রয়াত পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসওয়ালার মা চরণ কৌর আইভিএফ কৌশলের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এই সুখবরটি প্রয়াত গায়কের বাবা বলকৌর সিধু তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দিয়েছেন।
শিশুটির ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, "শুভদীপকে (সিধু মুসেওয়ালা) ভালোবাসে এমন লক্ষাধিক আত্মার আশীর্বাদে, অকাল পুরখ শুভর ছোট ভাইকে কোলে রেখেছেন। ঈশ্বরের আশীর্বাদে, পরিবারটি সুস্থ রয়েছে। সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের অফুরন্ত ভালবাসা। এর জন্য ধন্যবাদ।"
আপনি কি সেই IVF কৌশল সম্পর্কে জানেন যার মাধ্যমে সিধু মুসওয়ালার ছোট ভাই পৃথিবীতে এল? ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) একটি সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তি যা প্রচলিত পদ্ধতির মাধ্যমে যারা গর্ভধারণ করতে পারে না এমন দম্পতিদের সাহায্য করে।
এই প্রক্রিয়ায়, ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু শরীরের বাইরে একটি পরীক্ষাগারে মিশ্রিত হয়। নিষিক্তকরণের পরে, গঠিত ভ্রূণটি জরায়ুতে রোপণ করা হয়।
IVF-এর সময়, মহিলারা একাধিক ডিম্বাণু তৈরি করার জন্য একটি ওভারি স্টিমুলেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়, যা একটি ছোট অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। এই সময়ে, পুরুষ সঙ্গীর শুক্রাণুর একটি শুক্রাণু নমুনা নেওয়া হয়। তারপর পরীক্ষাগারে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু মিশিয়ে নিষিক্ত করা হয়।
যে ভ্রূণগুলি গঠিত হয় তা কয়েক দিনের জন্য কালচার করা হয়, তারপর তাদের মধ্যে এক বা একাধিক মহিলার জরায়ুতে স্থানান্তরের জন্য নির্বাচন করা হয়।
IVF হল একটি দুর্দান্ত ফার্টিলিটি চিকিৎসা, এটি সেই সব দম্পতিদের জন্য আশার রশ্মি, যারা সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের মাধ্যমে এই দম্পতিদের বাবা-মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে পারে।
সাধারণত প্রাকৃতিক উপায়ে গর্ভধারণ করা সম্ভব না হলে আইভিএফ কৌশল ব্যবহার করা হয়। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে যেমন ফ্যালোপিয়ান টিউবে ব্লকেজ, শুক্রাণুর সংখ্যা কম, বন্ধ্যাত্ব ইত্যাদি।
এই প্রক্রিয়া চলাকালীন, রোগীকে যত্ন করা হয়, সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়, সঠিক ওষুধ দেওয়া হয়, চিকিৎসা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয় এবং এমনকি মানসিক সমর্থন প্রদানের জন্য প্রচেষ্টা করা হয়। এতে সম্ভাব্য ঝুঁকি, সাফল্যের হার এবং অন্য কোনো উদ্বেগ নিয়ে রোগী ও তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
IVF একটি কঠিন কিন্তু আশাব্যঞ্জক যাত্রা। যদি আরও ভাল ফলাফল চান তবে ডাক্তার এবং রোগীর মধ্যে যোগাযোগ প্রয়োজন।