10 AUGUST, 2024
BY- Aajtak Bangla
খাবার মুখে দেওয়ার পর যে শান্তি মনে এবং প্রাণে ছড়িয়ে পড়ে, রান্না কিন্তু ততটাও স্বস্তির কাজ নয়। শারীরিক পরিশ্রম তো আছেই। সেই সঙ্গে বুদ্ধি প্রয়োগ করা এবং মাথা খাটানো জরুরি।
রান্নায় স্বাদ আসে শুধু মশলা ব্যবহার করলে নয়। মনোযোগ দেওয়াও জরুরি। মন এবং মশলা দিয়েও পাকা রাঁধুনির হাতের রান্নাও অনেক সময় সুস্বাদু হয় না। টুকিটাকি ভুল হয়েই যায়।
অনুসন্ধান করেও তার কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে কয়েকটি ছোটখাটো ভুল যদি এড়িয়ে চলা যায় তা হলে রান্নার স্বাদ নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকবে না।
পাকা রাঁধুনির তকমা পেতে রান্নাঘরে অবশ্যই মেনে চলুন শেফেদের এই কুকিং টিপস।
সকলের হেঁশেলেই দু-একটা ননস্টিকের পাত্র উঁকিঝুঁকি মারতে দেখা যায়। তবে চটপট কিছু রান্নার ক্ষেত্রে এটি ভাল। কিন্তু সব রান্নার ক্ষেত্রে ননস্টিকের পাত্র না ব্যবহার করাই ভাল। কারণ ননস্টিক অন্যান্য পাত্রের চেয়ে দেরিতে গরম হয়। আর তা ছাড়া খাবারের স্বাদও নষ্ট করে দিতে পারে।
ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় পাত্র গরম হওয়ার আগেই তাতে রান্না শুরু করে দেন। কিন্তু এতে উল্টোটাই হয়। খাবার সিদ্ধ হতে দেরি হয়। স্বাদও বিগড়ে যেতে পারে। সঠিক ভাবে কড়াই গরম না হলে রান্না শুরু করা উচিত নয়
গরম খাবার ফ্রিজে ঢোকানো একদমই উচিত নয়। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে অনেকেই কড়াই থেকে খাবার নামানোর কিছু ক্ষণের মধ্যেই তা ফ্রিজে ঢুকিয়ে দেন। তাতে রান্নার স্বাদ এবং স্বাস্থ্যগুণ উভয়েই নষ্ট হয়। তাই রান্না করা খাবার ঘরের তাপমাত্রায় আসার পরেই ফ্রিজে খাবার তোলা উচিত।
সেদ্ধ হয়েছে কি না তা পরখ করার জন্য অনেকেই রান্না বসিয়ে বার বার নাড়াচাড়া করেন। এতে সেদ্ধ হতে দেরি হয় বেশি। রান্না হতে নির্দিষ্ট সময় না দিলে খাবারের স্বাদও নষ্ট হয়ে যায়।
একদিনে রান্না করতে এসেই কিন্তু সবাই সবটা শিখে যাবেন না। তার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত অভ্যাসের। প্রথম দিন রান্না পুড়ে যাবে, নুন বেশি হবে, পরিমাণের তুলনায় তেল বেশি পড়ে যাবে, গ্রেভি করতে গিয়ে হয়তো বেশি শুকনো হয়ে গেল আবার কেক বানাতে গিয়ে ঠিকঠাক বেক হল না- এই নানা রকম সমস্যা কিন্তু আসতেই পারে।
আমাদের কাজ হল কী ভাবে সেই সমস্যার সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে চিন্তা করা। আর এর জন্য নিয়মিত ভাবে সময় দিয়ে অভ্যাস করে যেতে হবে।
প্রথমেই জটিল কিছু নয়, বরং সহজ কিছু রান্না করুন। চা, ওমলেট এসব দিয়েই না হয় শুরু করুন। আস্তে আস্তে রোজকার ডাল, ভাত, তরকারি বানান। তার পরের স্টেপ হল লুচি-মাংস- বিরিয়ানি পায়েস। একদিনেই কেই সব রান্না শিখে যায় না। সেই সঙ্গে রান্নার প্রতিও আলাদা করে ভালবাসা থাকতে হবে। তবেই নিজে উন্নতি করতে পারবেন।
রান্না শুরুর আগে সব কিছু হাতের সামনে জোগাড় করে রাখুন। কী কী রান্না করবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন। সেই মত সবজি কাটতে হবে। মশলা রেডি করতে হবে। গ্যাসে কিছু একটা বসিয়ে তারপর রান্নার বাকি জোগাড় করবেন এরকমটা করবেন না। বরং আগে থেকেই সব সেরে রাখুন। এতে কিন্তু রান্না তাড়াতাড়ি হয়। সেই সঙ্গে খেতেও ভাল হয়।
রান্নার আসল হল স্বাদ। তাই ঠিক কতটা নুন দিলে রান্নায় স্বাদ বাড়বে তা নিজেকেই ঠিক করে দিতে হবে। যে কারণে সব সময় রেসিপিতে উল্লেখ থাকে স্বাদমতো নুন- চিনির। নুন-চিনি ঠিকমতো দিলে রান্নার স্বাদ এমনিই খোলতাই হয়। আর এটাই কিন্তু ভাল রান্নার মূলমন্ত্র।
খুব জটিল মারপ্যাঁচের কৌটো রাখবেন না যা খুলতে সময় লাগে। বরং এমন কিছু ব্যবহার করুন যাতে রান্নার সময় অতিরিক্ত সময় নষ্ট না হয়। সব থেকে ভাল কাঁচের স্বচ্ছ কৌটো ব্যবহার করা। এতে কাজের সময় সময় নষ্ট হয় না। সেই সঙ্গে যে সব রান্না আগে থেকে ম্যারিনেট করে রাখলে ভাল হয় তার ক্ষেত্রে সেই নিয়মই পালন করুন।