সিঙাড়া আর সমোসা মোটেও এক নয়, পার্থক্যটা অনেকেই জানে না
চলুন দেখি, কীভাবে তৈরি এবং উপাদানের ভিত্তিতে এদের আলাদা করা যায়
১. ময়দার প্রয়োগ:
সিঙ্গারার খোল তৈরি হয় তুলনামূলকভাবে নরম ময়দা দিয়ে, যাতে সামান্য ঘি বা তেল মেশানো থাকে। সমোসার খোল বেশ শক্ত ও খসখসে হয় এবং এতে ময়দার সঙ্গে সুজি ব্যবহার করা হয়।
২. আকৃতি:
সিঙ্গারা সাধারণত ত্রিভুজাকার কিন্তু বেসে চওড়া ও মোটা হয়, আবার সমোসা হয় হালকা পিরামিডাল, ধারালো কোনা সহ।
৩. ভেতরের পুর:সিঙ্গারায় থাকে ঝাল আলু, ফুলকপি, বেসন ফ্রাইড চিনে বাদাম, আদা, কাঁচা লঙ্কা। সমোসায় সাধারণত আলু ও মটরশুঁটি, গরম মশলা, শুকনো আমচুর বা লেবুর রস মেশানো হয়।
৪. মশলার ব্যবহারে ভিন্নতা:সিঙ্গারায় ব্যবহৃত মশলা সাধারণত কাঁচা, হালকা। সমোসায় থাকে শুকনো, গরম ও টাংগি স্বাদের মশলা।
৫. তৈরির পদ্ধতি:
সিঙ্গারা বানাতে পুর তৈরি করে খোলের মধ্যে পুর ভরে ভাজা হয়। সমোসার ক্ষেত্রে খোল লম্বা করে কেটে কুচি করে মোড়ানো হয় বিশেষ কৌশলে।
৬. তেল ব্যবহার:সিঙ্গারা মাঝারি গরম তেলে ভাজা হয় যাতে নরম-চটচটে থাকে। সমোসা ধীরে ধীরে কম আঁচে ভাজা হয় যাতে খোল খসখসে হয়।
৭. উপাদানের ভিন্নতা অঞ্চলভেদে:
সিঙ্গারা অঞ্চল ভেদে মাংস, চিংড়ি, চিজের পুরে তৈরি হয়। সমোসা সাধারণত নিরামিষ, তবে উত্তর ভারতে কিমার পুরেও তৈরি হয়।
৮. উৎস:
সিঙ্গারার উৎপত্তি বাংলায়, আবার সমোসার উৎস মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়া বলে ধরে নেওয়া হয়।
০৯. স্বাদের অনুভব:সিঙ্গারার স্বাদ তুলনামূলকভাবে হালকা ও মসৃণ। সমোসার স্বাদ ঝাঁঝালো, তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী।
সিঙাড়ার আলু চৌকো করে কাটা হয়। সমোসার আলু সিদ্ধ করে মেখে পুর তৈরি করা হয়।