BY- Aajtak Bangla

্ধবমানের সেরা মিষ্টি সীতাভোগ! কীভাবে এই নামকরণ হল? অনেকেই জানেন না 

10 SEPTEMBER, 2024

বাংলার সুপ্রসিদ্ধ এক মিষ্টি সীতাভোগ। এটা অনেকটা বাসমতী চালের ভাতের মত দেখতে হয়। তবে খেতে খুবই ভাল। 

বর্ধমানের সীতাভোগ অতি বিখ্যাত। জানেন কীভাবে বাংলার বুকে এই মিষ্টির আবির্ভাব হল?  

 ১৯০৪ সালে বড়লাট জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন বর্ধমানের জমিদার বিজয়চাঁদ মহতাবকে মহারাজা খেতাব দিতে বর্ধমান ভ্রমণ করেন। 

কার্জনের বর্ধমান আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে বিজয়চাঁদ মহতাব, বর্ধমানের জনৈক মিষ্টি প্রস্তুতকারক ভৈরবচন্দ্র নাগকে একটি বিশেষ মিষ্টি প্রস্তুত করতে বলেন।

ভৈরবচন্দ্র, সীতাভোগ ও মিহিদানা তৈরি করেন। কথিত আছে, কার্জন সীতাভোগ খেয়ে  খুশি হয়ে, সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠানে সীতাভোগ পরিবেশন করা বাধ্যতামূলক করেন।

সীতাভোগের প্রধান উপাদান সীতাসের প্রজাতির গোবিন্দভোগ চাল। কথিত আছে যে, সীতাসের প্রজাতির গোবিন্দভোগ চাল থেকে প্রস্তুত হওয়ার কারণেই সীতাভোগের একটি নিজস্ব স্বাদ ও সুগন্ধ হয়।

সীতাসের, বর্ধমানের এক বিশেষ অঞ্চলেই উৎপাদিত হয়। সীতাভোগ বানানোর মূল উপাদান- চাল, ছানা, দুধ, চিনি

এই চাল গুঁড়ো করে তাতে ১:৪ অনুপাতে ছানা মিশিয়ে পরিমাণ মতো দুধ দিয়ে মাখা হয়।

এরপর একটি বাসমতী চালের আকৃতির মত ছিদ্রযুক্ত পিতলের পাত্র থেকে মিশ্রণকে গরম চিনির রসে ফেলা হয়।

এরপর একটি বাসমতী চালের আকৃতির মত ছিদ্রযুক্ত পিতলের পাত্র থেকে মিশ্রণকে গরম চিনির রসে ফেলা হয়।

এর সঙ্গে ছোট ছোট গোলাপজাম, নিকুতি বা কাজুবাদাম ও কিশমিশ মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়।