26 NOVEMBER 2024
BY- Aajtak Bangla
পরীক্ষা আসলেই কীভাবে হবে তা নিয়ে মনের মধ্যে ভয় জাগতে শুরু করে। যে শিশুরা পড়াশোনা করে তাদের ব্যর্থতার ভয় সবচেয়ে বেশি থাকে।
এই ভয় তখনও থাকে যখন আপনি সবকিছু পড়ার পরেও আতঙ্কিত থাকেন। এই ভয় থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো রিভিশন ভালোভাবে করা।
পরীক্ষার দিনে রিভিশন ভালো না হলে পরীক্ষায় লিখতে অসুবিধা হয়। রিভিশন মানে শুধু পাতা উল্টানো নয়। অতএব, চলুন জেনে নেওয়া যাক রিভিশন করার সঠিক উপায় কী এবং এর সুবিধাগুলি কী কী।
রিভিশন শুরু করার আগে রিভিশনের টাইম এবং সিলেবাস প্যাটার্ন প্রস্তুত করুন। মনে রাখবেন শুধুমাত্র নোটের উপর নির্ভর করবেন না। এছাড়াও পুরানো পোপার বের করুন এবং তারপর সময়ে সময়ে সেগুলি পড়ুন। এতে বিষয়টি বোঝা সহজ হবে।
আপনি স্কুলে বা কোচিংয়ে যে পড়াশোনা করেন তা বাড়ি গিয়ে রিভাইস করুন। বাড়িতে যাওয়ার পরে, সেই বিষয়গুলি রিভাইস করার জন্য উপযুক্ত সময় দিন। এটি আপনার পড়ার সময়বাড়িয়ে দেবে, তবে আপনি যা পড়বেন, তা সারাজীবন ভুলবেন না।
ধরুন আপনি প্রথম দিনে ২ থেকে ৪ ঘন্টার একটি ক্লাস করেছেন, তাহলে আপনাকে বাড়িতে গিয়ে একই দিনে সেই বিষয় রিভাইস করতে হবে, এতে আপনার সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট এবং এটি আপনার পক্ষে বিষয়টি বোঝা সহজ করে তুলবে।
পরের দিন যখন আপনি আবার ২ থেকে ৪ ঘন্টার ক্লাস করবেন, সেই দিনও আপনাকে বাড়িতে গিয়ে মিনিটের জন্য সেই বিষয়টি রিভাইস করতে হবে।
আপনি যদি তৃতীয় দিনে এত ঘন্টা অধ্যয়ন করেন, তবে এক সপ্তাহের মধ্যে আপনি বিষয়টি আপনার মনে সম্পূর্ণভাবে গেঁছে নেবেন। মনে রাখবেন আপনার মুখস্থ করা উচিত নয়, আপনার বিষয়টিকে গভীরভাবে বুঝতে হবে
রিভিশনের সুবিধা হল যে এটি বিষয়ের উপর আপনার দখলকে শক্তিশালী করে এবং বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য অধ্যায়গুলি সহজেই বোঝা যায়।
অনেক সময়, এমন হয় যে সহজ প্রশ্নগুলি রিভাইস না করায় সেগুলি হাতছাড়া হয়, যা নম্বরকে প্রভাবিত করে, তাই মনে রাখবেন যে কেবল কঠিন নয়, সহজ প্রশ্নগুলিও রিভাইস করতে থাকুন।