BY- Aajtak Bangla
30 January 2024
হঠাৎ করে লক্ষ্য করলেন আপনি অনেক কিছু ভুলে যাচ্ছেন। অন্যরা এ বিষয়টি নোটিস করতে পেরে অনেক সময় আপনাকে ব্যঙ্গ করছে।
কিন্তু এই স্মৃতিভ্রম কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তার উদাহরণ হলো ডিমেনশিয়া।
চিকিৎসা বিষয়ক সাপ্তাহিক পত্রিকা দ্য ল্যানসেট এক প্রতিবেদনে বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে এই উপমহাদেশে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হবেন প্রায় এক কোটি চৌদ্দ লাখের বেশি মানুষ।
সামগ্রিক বা আংশিক স্মৃতিশক্তি লোপ, যুক্তি দিয়ে ভেবেচিন্তে কথা বলতে অসুবিধা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতার মতো একাধিক সমস্যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় ডিমেনশিয়া বলা হয়।
সবচেয়ে বহুল ও দূরারোগ্য ডিমেনশিয়ার উদাহরণ হলো অ্যালঝাইমার্স। শুধু ভারতই নয়, বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে এই রোগের প্রকোপ।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, অফিসে দীর্ঘক্ষণ যারা বসে কাজ করেন, তাদের অন্যদের তুলনায় ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
সমীক্ষা অনুযায়ী, অফিসে যারা দীর্ঘক্ষণ একটানা বসে কাজ করেন, তারা নিয়ম করে শরীরচর্চা করলেও এই রোগের ঝুঁকি এড়াতে পারেন না।
সমীক্ষা অনুযায়ী, দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করার অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কের পাশাপাশি আমাদের শরীরকেও প্রভাবিত করে। নিয়মিত ব্যায়াম করেও সেই ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায় না।
সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, যারা দিনে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বসে অফিসে কাজ করেন, তাদের সাত বছরের মধ্যে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
কেবল অফিসের ডেস্কেই নয়, বাড়িতে ফিরে টিভির সামনে কিংবা গাড়িতে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলেও একই সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে।
অনেকেই আছেন, যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করার মাঝে উঠে হাঁটাচলা করেন। তবে সমীক্ষা বলছে, এই অল্প হাঁটাহাঁটিতেও কোনও লাভ হবে না। হাঁটাহাঁটি করলেন অথচ ১০ ঘণ্টা চেয়ারে বসে কাজও করলেন, সে ক্ষেত্রে ক্ষতিটা কিন্তু একই হবে।
ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে হলে সবার আগে অফিসে বসে কাজ করার সময়টা কমাতে হবে। চেষ্টা করতে হবে ৯ থেকে সাড়ে ৯ ঘণ্টার মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলার।
এক জায়গায় বসে দুপুরের খাবার না খেয়ে অন্য জায়গায় গিয়ে খেতে পারেন। সকালের দিকটা বেশি হাঁটাচলা করতে হবে। দিনের বেশির ভাগ সময়টা সচল থাকতে হবে।