23 November, 2023
BY- Aajtak Bangla
শাঁখা মূলত বানানো হয় সামুদ্রিক শঙ্খ থেকেই। সাধারণত বাঙালি হিন্দু বিবাহিত নারীদের বিবাহিত জীবনের চিহ্ন এই শাঁখা।
হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, শাঁখা, পলা ও সিঁদুর ছাড়া বিয়ে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। অনেক প্রাচীন যুগ থেকে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত এই রীতি অনুসরণ করা হয়।
একটা সময় সরু শাঁখার চল ছিল প্রচুর। বর্তমানে শুরু হয়েছে মোটা শাঁখার ফ্যাশন। এ ধরনের শাঁখা পরা যায় পলার সঙ্গে, আবার পলা ছাড়াই পরা যায়। সঙ্গে থাকতে পারে অন্য কোনো বালা বা কয়েক গাছা সরু চুড়ি।
যাঁরা বাঁধানো শাঁখা পরতে পছন্দ করেন, কিন্তু শাঁখা ভেঙে যাওয়ায় ভয়ে সব সময় পরেন না, তাঁদের জন্য একটা ভালো বিকল্প হতে পারে প্লাস্টিকের শাঁখা।
হস্তীমুখী, মকরমুখী বা ময়ূরমুখী নকশার শাঁখা সনাতনী সাজের সঙ্গে এসব ধরনের নকশার শাঁখা বেশ মানানসই। নিজের পছন্দমতো নকশা দিয়ে বানাতে পারেন বা পছন্দ হলে দোকান থেকে কিনেও নিতে পারেন।
সোনার জল করা বা সম্পূর্ণ সোনার তৈরি—দুই ধরনের শাঁখাই বাজারে সহজলভ্য। শাঁখার নকশায়ও মিলবে ভিন্নতা। নামও বাহারি—বেকি, কঙ্কন, বেণি, শঙ্খপাতা, ধানছড়া, দড়িবান, বাজগিট্টু, চিত্তরঞ্জন, পানবোট, সতীলক্ষ্মী, জলফাঁস, হাইসাদার, দানাদার, লতাবলা, তারপেঁচ, মোটালতা, নাগরী বয়লা—আরও কত-কী।
আগে নারীরা দুই হাতে দুটি শাঁখা পরতেন। এখন ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে এ ধারারও। এক হাতে একাধিক শাঁখা এবং আরেক হাত সম্পূর্ণ খালি রাখার চলও চোখে পড়ছে আজকাল।
হিন্দুধর্মাবলম্বী নারীদের বাইরেও অন্যদের আজকাল শাঁখা পরতে দেখা যাচ্ছে হরহামেশাই।