14 June 2025
BY- Aajtak Bangla
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যখন গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি বা তার বেশি ছুঁয়েছে, তখন খাদ্যাভ্যাসে সতর্কতা অবলম্বন অত্যন্ত জরুরি।
অনেকেই প্রশ্ন করেন, গরমকালে দিনে ক’টা ডিম খাওয়া নিরাপদ? উচ্চ প্রোটিনযুক্ত এই খাবার শরীরের পক্ষে কতটা উপযোগী এই আবহাওয়ায়?
ডিম একটি সম্পূর্ণ প্রোটিনের উৎস এবং এটি গ্রীষ্মকালেও খাওয়া যায়। তবে শরীরের ধরণ, দৈহিক পরিশ্রম, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও পানীয় জলের পরিমাণের উপর নির্ভর করে প্রতিদিন ডিমের পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত।
সাধারণ সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি – দিনে ১-২টি ডিম (সকাল বা দুপুরে)।
শরীরচর্চাকারী বা অ্যাথলিট – দিনে ২-৩টি ডিম (সঠিক ব্যালেন্স সহ, প্রচুর জল পান সাপেক্ষে)।
ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরল সমস্যায় ভোগা ব্যক্তি – দিনে ১টি (হাতে গোনা সপ্তাহে ৪-৫ দিন) এবং কুসুম বাদ দিয়ে খাওয়া উত্তম।
বাচ্চা ও বৃদ্ধদের জন্য – দিনে ১টি সেদ্ধ ডিম যথেষ্ট।
দুপুরে বেশি ডিম খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
ডিম খাওয়ার পর পর্যাপ্ত জল না খেলে গ্যাস, অম্বল ও শরীর গরম হতে পারে।
কাঁচা ডিম বা বেশি ঝাল দিয়ে রান্না করা ডিম গ্রীষ্মকালে বর্জনযোগ্য।
রাতে ডিম খেলে তা শরীরে অতিরিক্ত গরম সৃষ্টি করতে পারে।
সেদ্ধ ডিম সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজপাচ্য।
খাওয়ার পর লেবু জল বা নারকেল জল খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে।
ডিম খাওয়ার আগে ও পরে ১ গ্লাস জল খাওয়া জরুরি।