08 May, 2025

BY- Aajtak Bangla

চাঁদিফাটা গ্রীষ্মে কী খেতেন রবীন্দ্রনাথ? ঠাকুরবাড়ির হেঁশেলের গোপন তথ্য

নিমপাতার শরবত থেকে পান্তাভাত—গরমে কবিগুরুর খাওয়া-দাওয়ায় ছিল বিশেষ নিয়ম। এই গ্রীষ্মে জেনে নিন ঠাকুরবাড়ির ঠান্ডা হেঁসেল কীভাবে আপনাকে আজও স্বস্তি দিতে পারে

১. নিমপাতার শরবত: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কবিগুরু প্রতিদিন সকালে নিমপাতার শরবত খেতেন। এটি ডেটক্সিফাই করতে সাহায্য করত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াত।

২. পান্তাভাত: ঠান্ডা পান্তাভাত ছিল কবিগুরুর গ্রীষ্মকালীন পছন্দের তালিকায়। এটি শরীর ঠান্ডা রাখে ও হজমে সহায়ক।

৩. জল দেওয়া ভাত ও পাতলা ডাল: গরমে বেশি মশলাদার খাবার পরিহার করে তিনি পাতলা মুগ ডাল ও জলভাত খেতেন—সহজপাচ্য ও আরামদায়ক।

৪. সুক্তো ও তেঁতুল-তরকারি: সপ্তাহে একাধিকবার তেঁতুল দিয়ে তৈরি হালকা তরকারি ও সুক্তো থাকত খাবারে, যেটি তাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হজমে উপকারী।

৫. ফল ও শরবত: কবিগুরু মৌসুমি ফল যেমন তরমুজ, বেল, আম খেতে ভালোবাসতেন। ফলের রস দিয়ে তৈরি শরবত ছিল হাইড্রেশনের উৎস।

৬. দই ও জল: খাবারের শেষে ঠান্ডা দই খাওয়া ছিল রোজকার অভ্যাস। দই শরীর ঠান্ডা রাখে ও গ্যাসট্রিক থেকে মুক্তি দেয়।

৭. হালকা শাকসবজি: পাতা শাক, পুঁইশাক, লাউ ইত্যাদি হালকা সবজি গরমে খাওয়ার অভ্যাস ছিল। এগুলো শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং হজমে সহায়তা করে।

৮. খাবারের সময় ও পরিমাণে সংযম: গ্রীষ্মে বেশি খাওয়া নয়—বরং ছোট পরিমাণে, সময় মেনে খাওয়া ছিল রবীন্দ্রনাথের অভ্যাস। এটি সুস্থ থাকার অন্যতম সূত্র।

৯. ঠান্ডা জল বা বরফ নয়: তিনি বরফ দেওয়া ঠান্ডা জল পান করতেন না। ঠান্ডা রাখতে খেতেন স্বাভাবিক তাপমাত্রার তরল খাবার।

১০. ঠাকুরবাড়ির 'হবিষ্যান্ন': বিশেষ দিনগুলোতে হালকা ভাত, ডাল, সবজি মিশিয়ে তৈরি হত হবিষ্যান্ন। এটি ছিল কবিগুরুর খাদ্যসংযমের প্রতীক।