10 April, 2025
BY- Aajtak Bangla
পশ্চিমবঙ্গের ঘটি পরিবারে গরমকালে পুঁটিমাছের টক এক অত্যন্ত জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী পদ। এটি শরীর ঠান্ডা রাখে ও রুচি বাড়ায়।
প্রধান উপকরণ দেশি পুঁটি – এই রান্নার মূল উপকরণ দেশি পুঁটিমাছ, যা ১০-১৫টি ছোট আকারের প্রয়োজন হয়। মাছগুলোকে আগে হলুদ ও লবণ মাখিয়ে রাখতে হয়।
স্বাস্থ্যকর রান্না – শর্ষের তেল, তেঁতুল ও আস্ত শর্ষে দিয়ে তৈরি এই পদ হজমে সহায়ক এবং গ্রীষ্মকালে শরীরকে শীতল রাখে।
ফোড়নের গুরুত্ব – আস্ত সাদা শর্ষে ও শুকনো লাল মরিচের ফোড়নে এই রান্নায় বাড়তি স্বাদ ও ঘ্রাণ আসে, যা খাবারকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
তেঁতুলের ক্বাথ ব্যবহারে টক ভাব – তেঁতুলের রস বা ক্বাথ এই পদে প্রাকৃতিক টকভাব এনে দেয়, যা গরমকালে খুবই তৃপ্তিদায়ক।
চিনির ছোঁয়ায় ভারসাম্য – রান্নার শেষে পরিমাণমতো চিনি দিলে টক ও মিষ্টির একটি সুন্দর সামঞ্জস্য তৈরি হয়।
অল্প সময়ে প্রস্তুতযোগ্য – খুব সহজ প্রণালিতে ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই রান্না সম্পূর্ণ করা সম্ভব, যা ব্যস্ত জীবনে সময় বাঁচায়।
রুচিবর্ধক পদ – গরমকালে রুচি না থাকলে এই টক মাছ খাবার প্রতি আকর্ষণ তৈরি করে ও খাবারের রুচি বাড়ায়।
ভাতের সেরা সঙ্গী – গরম ভাতের সঙ্গে এই পুঁটিমাছের টক খেতে দারুণ লাগে, বিশেষত দুপুরের খাবারে।
ঋতুভিত্তিক খাদ্যজ্ঞান – পুঁটিমাছের টক শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং ঋতুভিত্তিক খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবেও এই পদকে গরমের “সুপারফুড” বলা যায়।
আপনি চাইলে এই রেসিপিটি আরও আঞ্চলিক স্বাদে রূপান্তর বা ফিউশন ধাঁচে পরিবেশন করার ধারণাও দিতে পারি!