10 January 2024
BY- Aajtak Bangla
ভারত ভূমিকে বিভিন্ন কালে যে মনিষীরা সমৃদ্ধ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন স্বামী বিবেকানন্দ।
শিক্ষা, দর্শন, ধর্ম, চরিত্র গঠন ও নানা বিষয়ে স্বামী বিবেকানন্দ আমাদের শিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন। তাঁর বলা প্রতিটি এখনও নিজের প্রাসঙ্গিকতা হারায়নি।
তাঁর প্রতিটি বক্তব্যের প্রধান উদ্দেশ্যই হল মানুষের চরিত্রের সঠিক গঠন। অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন এই সন্ন্যাসী ভারতের যুবসমাজকে নতুন চিন্তাভাবনা প্রদান করে গিয়েছেন।
চরিত্র গঠনের পাশাপাশি কর্ম ও শিক্ষা সম্পর্কেও স্বামীজির একাধিক বাণী আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের ১৬২-তম জন্মদিন। দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় তা পালিত হবে।
এই পুণ্য তিথিতে দেখে নেওয়া যাক স্বমীজির কিছু বিখ্যাত উক্তি-
যুব সমাজের প্রতি স্বামীজির বার্তা ছিল “ওঠো , জাগো এবং লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না।”
কাজ সম্পর্কে বিবেকানন্দর বার্তা, “সারাদিন চলার পথে যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হও, তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছ।”
শিকাগোর বক্তৃতা রাখতে গিয়ে বিবেকানন্দ শুরু করেছিলেন, 'ভাই ও বোন' বলে সম্বোধন করে। তাঁরই বক্তব্য, জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
চরিত্র গঠন সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য ছিল, “নিজের উপর বিশ্বাস না এলে, ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না।'
বিবেকানন্দের কথায়, তাঁর কথায়, “যে রকম বীজ আমরা বুনি, সে রকমই ফসল আমরা পাই। আমরাই আমাদের ভাগ্য তৈরী করি, তার জন্য কাউকে দোষারোপ করার কিছু নেই, কাউকে প্রশংসা করারও কিছু নেই। ”
জীবে প্রেম করার বার্তা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “ঘৃণার শক্তি অপেক্ষা প্রেমের শক্তি, অনেক বেশি শক্তিমান।”
সকলকে নিয়ে এগিয়ে চলার বার্তা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “শুধু বড় লোক হয়ো না, বড় মানুষ হও।”
মানসিক কাঠিন্য তৈরির বার্তা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “যদি সত্যিই মন থেকে কিছু করতে চাও তাহলে পথ পাবে; আর যদি না চাও তাহলে অজুহাত পাবে।”
শক্ত মনে এগিয়ে যেতে স্বামী বিবেকানন্দর বার্তা, 'ভয়ই মৃত্যু, ভয়ই পাপ, ভয়ই নরক, ভয়ই অসাধুতা, ভয়ই ভুল জীবন, এই বিশ্বের সমস্ত নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা ও ধারণা' এই ভয়ের অসৎ শক্তি থেকেই সৃষ্টি হয়েছে।
'সাহসী লোকেরাই বড় বড় কাজ করতে পারে।'
'যদি সত্যিই মন থেকে কিছু করতে চাও তাহলে পথ পাবে,আর যদি না চাও তা হলে অজুহাত পাবে।'
'এক দিনে বা এক বছরে সফলতার আশা করো না। সবসময় শ্রেষ্ঠ আদর্শকে ধরে থাক।'