BY- Aajtak Bangla
10 April, 2024
মিষ্টিকুমড়ো কাটার সময় আমরা সাধারণত বীজ ফেলে দিই। এই ফেলনা জিনিসই কিন্তু রূপচর্চার দারুণ এক উপকরণ।
কুমড়ার বীজের তেল একধরনের এসেনশিয়াল অয়েল। এই তেল বা নির্যাস সরাসরি ব্যবহার করা যাবে না। এ জন্য আপনাকে আরেকটি তেলের সাহায্য নিতে হবে।
পাকা মিষ্টিকুমড়ো কেটে বীজ বের করে নিতে হবে। বীজের গায়ে লেগে থাকা কুমড়ার অংশ চেঁছে ফেলে দিতে হবে।
বীজ শুকিয়ে গেলে স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে জলপাই তেল নিন, তাতে বীজগুলো ঢেলে দিন। বীজের পরিমাণ যদি ২০০ গ্রাম হয়, তাহলে তেলও নিতে হবে ২০০ গ্রাম।
মৃদু আঁচে জ্বাল দিন। স্বচ্ছ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝেমধ্যে কাঠের চামচ দিয়ে নেড়ে দিন। তেল ফুটে উঠলেই নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে একটি কাচের বোতলে রেখে দিন। এভাবে তৈরি করা তেল দুই মাস পর্যন্ত ভালো থাকে।
ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে ময়েশ্চারাইজারের বিকল্প হিসেবে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন রোজ।
যেকোনো ধরনের ত্বকেই এই তেল ব্যবহার করা যায়। বিশেষত যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁদের ত্বকে এই তেল চমৎকার কাজ করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ও তারুণ্য ধরে রাখতেও ব্যবহার করতে পারেন এই তেল।
চুলের বৃদ্ধির জন্য মাথার ত্বকের সুস্থতা গুরুত্বপূর্ণ। কুমড়ার বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন- ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যা মাথার ত্বককে অক্সিডেটিভ চাপ থেকে সুরক্ষিত রাখে