BY- Aajtak Bangla
11th September, 2024
বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিরদাঁড়া। সব জায়গাতেই এখন শিরদাঁড়া সোজা রাখার কথা বলা হচ্ছে।
যাইহোক এটা একেবারে অন্য প্রসঙ্গ। তবে এই সময়ে পেশা ও ব্যক্তিগত জীবনের যা চাপ তাতে শিরদাঁড়ার ওপর প্রভাব পড়ছে।
মানবদেহের পুরোটাই নিয়ন্ত্রিত হয় মেরুদণ্ডের সুস্থতার ওপর। কিন্তু আমাদের অবহেলা আর অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইলের কারণে মেরুদণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে আমরা প্রতিনিয়ত করছি ঝুঁকিপূর্ণ।
মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করলে মানুষের মধ্যে কিছু উপসর্গ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যেমন কোমরব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, সোজা হয়ে দাঁড়াতে না পারা, মেরুদণ্ডের ডিস্কে ব্যথা ইত্যাদি।
কিছু কৌশল বা উপায় যা মেনে চললে মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক গঠন পরিবর্তন হবে না, বরং অপরিবর্তিত থাকবে।
প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করুন। অথবা আধাঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এর ফলে মেরুদণ্ডের হার এবং ডিস্ক সুস্থ থাকার পাশাপাশি মেরুদণ্ডের মাংসপেশি সুগঠিত হয়।
বেশি ওজন থাকলেও মেরুদণ্ডের সমস্যা শুরু হয়। তাই সুপরিকল্পিত ডায়েট অনুসরণ করে শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে চেষ্টা করুন।
এসময় ডায়েটে প্রাধান্য দিন সামুদ্রিক মাছ, টুনা মাছ, বাদাম, ফ্ল্যাক্সসিড, সয়া নাগেট ইত্যাদি খাবারগুলোকে।
এক টানা বসে থাকবেন না। অফিসে বসে কাজ করতে হলেও মাঝে মাঝে ব্রেক নিন। হাঁটাহাঁটি করুন।
বসার সঠিক নিয়ম মেনে বসতে চেষ্টা করুন। কোমর, পায়ের স্ট্রেচিং করুন। এ অভ্যাস না থাকলেই ধীরে ধীরে মেরুদণ্ডের সমস্যা শুরু হয়।