03 April, 2024

BY- Aajtak Bangla

গরম জলে ২ পেগ রাম ঠান্ডার যম! সত্যি নাকি মিথ? 

গরম জলে দু ঢোক রাম গলায় ঢেলে নিলেই নাকি সর্দি কাশি পালায়। সত্যিই কি তাই? কী বলছেন চিকিৎসকেরা? 

গরমেও অনেকের খুশখুশে কাশি, সর্দি আর মুহুর্মুহু ঠান্ডা লেগে যাওয়া।

রাম খেলে সর্দি কাশি দূর হয়, এই বিশ্বাস আরও অনেক কিছুর মতোই বাঙালিরা ব্রিটিশদের থেকে অর্জন করেছেন। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং ভ্রান্ত।

রাম বা ব্র্যান্ডি খেলে কিছু সময়ের জন্য শরীর গরম হয় ঠিকই কিন্তু সেটা ১৫ মিনিটের জন্য। 

তাঁর মতে, একথা প্রথমেই বুঝে নেওয়া উচিত যে, সর্দি কাশি হচ্ছে সংক্রমণের প্রতিফলন। আর অ্যালকোহল কখনও সংক্রমণ সারাতে পারে না।

রাম প্রধানত দুই প্রকার- হোয়াইট রাম এবং ডার্ক রাম। হোয়াইট রামে গুড় আলাদাভাবে মেশানো হয় না। অনেক ককটেল তৈরিতে কাজে লাগে।

ডার্ক রামে অতিরিক্ত ক্যালোরি  শীতকালে উষ্ণতা দেয়। ডাক্তাররা বলছেন, এর মানে গরমকালে রাম খাওয়া যাবে না।

রাম প্রথম তৈরি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে। গরমে যদি খেতে সমস্যা হত, তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো গরম দেশে কেন এত চলবে।

ভারতে কেন উল্টো ধারণা? আসলে আয়ুর্বেদে খাবারে ঠান্ডা বা গরম শ্রেণিতে ধরা হয়। 

বাদাম, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি গরম। শসা, তরমুজ ঠান্ডা। সুরাকেও সেই শ্রেণিতে ফেলা হয়।